উত্তরা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে
মৎস্যরাজ বিরাটের ঔরসে রানী সুদষ্ণার গর্ভে এঁর জন্ম হয়েছিলমৎস্যরাজ বিরাটের গৃহে পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসকালে, অর্জুন বৃহন্নলা নামে ক্লীববেশে উত্তরাকে নৃত্য-গীত ও অন্যান্য কলাবিদ্যা শিক্ষা দিতেনএই অজ্ঞাতবাসের শেষাংশে কৌরবরা বিরাটরাজের গবাদি পশু হরণ করলে, বৃহন্নলারূপী অর্জুন কৌরবদের পরাজিত করে গোধন উদ্ধার করেনপরে বিরাট উত্তরার সাথে অর্জুনের বিবাহের প্রস্তাব করলে, অর্জুন শিষ্যাকে কন্যাতুল্যা বলে তাঁকে বিবাহ করতে অসম্মত হনকিন্তু বিরাটের প্রস্তাবকে সম্মান দেখিয়ে, অর্জুন তাঁর নিজ পুত্র অভিমন্যুর সাথে উত্তরার বিবাহ দেন

    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সপ্তরথী কর্তৃক অভিমন্যু যখন নিহত হন, তখন উত্তরা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অশ্বত্থামার মণি হরণকালে অশ্বত্থামা ও অর্জুন পরস্পরের প্রতি ব্রহ্মশির অস্ত্র নিক্ষেপ করেননারদ ও ব্রহ্মার অনুরোধে অর্জুন নিজ অস্ত্র সংবরণ করলেও অশ্বত্থামা অস্ত্র সংবরণে অসমর্থ হয়ে উক্ত অস্ত্র পাণ্ডবনারীদের গর্ভে নিক্ষেপ করেনফলে উত্তরার গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয় পরে কৃষ্ণ যোগবলে উক্ত শিশুকে জীবনদান করেন উত্তরার এই সন্তানের নাম ছিল পরীক্ষিত পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানকালে- পাণ্ডবরা পরীক্ষিতের হাতে রাজ্যভার সমর্পণ করে যান