জন্মের পরপরই
বসুদেব
কংসের
ভয়ে এই শিশুটিকে ব্রজধামে নন্দের বাড়িতে রেখে আসেন এবং তাঁর সদ্যজাতা কন্যাকে আনেন।
ব্রহ্ম-বৈবর্ত্ত পুরাণের মতে এই কন্যা ছিলেন দুর্গা। এই পুরাণে এই সদ্যজাতা কন্যাকে
অংশা নামে অভিহিত করা হয়েছে।
মহাভাগবৎ পুরাণের মতে, দক্ষের যজ্ঞে সতী স্বামীর (মহাদেব) নিন্দা শুনে দেহত্যাগ
করেন। দক্ষ এবং তার স্ত্রী প্রসূতি এতে অত্যন্ত দুঃখ পেয়ে, ভগবতীকে পুনরায়
কন্যারূপে পাওয়ার জন্য শতবর্ষ দেবীর আরাধনা করেন। এরপর দেবী দক্ষের সামনে আবির্ভূতা
হয়ে যানান যে, দ্বাপরে তোমার কন্যা হয়ে জন্মগ্রহণ করবো। কিন্তু তোমার ঘরে থাকবো না।
উল্লেখ্য
ভগবতী
যশোদার গর্ভে
কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বসুদেব কৃষ্ণকে যশোদার কাছে রেখে, এই কন্যাকে কংসের কারাগারে বন্দী দেবকীর কাছে
আনেন। কংস যখন এ কন্যাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে, কন্যাটি কংসের হাতের নাগালের বাইরে
চলে যান। এরপর কৃষ্ণচরিতের কোথাও এই কন্যার সন্ধান পাওয়া যায় না।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের শ্রীকৃষ্ণখণ্ডে আছে-
বসুদের ভিতরে দ্রোণ এবং তাঁর স্ত্রী ধরা, গন্ধমাদন পর্বতে অবস্থিত গৌতমের আশ্রমের
কাছে কৃষ্ণের দেখা পাওয়ার জন্য অযুতবর্ষ তপস্যা করেন। তারপরেও কৃষ্ণের দর্শন না
পেয়ে উভয়ই অগ্নুকুণ্ডে আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেন। সেই সময় দৈববাণীতে তাঁকে বলা হয়,
জন্মান্তরে তাঁরা নন্দ ও যশোদারূপে জন্মগ্রহণ করবে এবং কৃষ্ণকে তাঁরা পুত্ররূপে
পাবেন।
নন্দপত্নী যশোদা কৃষ্ণকে
আপন পুত্র হিসাবেই পালন করেন।
কৃষ্ণের বৃন্দাবনের শৈশবকালের সাথে
যশোদা মাতৃরূপে বিশেষভাবে
জড়িত। বৈষ্ণবদের কাছে যশোদা কৃষ্ণের মা হিসেবে সম্মানিতা হয়ে থাকেন।