যুবনাশ্ব
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি মতে–
সূর্যবংশীয় রাজা।
এঁর পিতার নাম প্রসেনজিৎ ও মাতার নাম গেওরী।
রাজা যুবনাশ্ব দীর্ঘদিন অপুত্রক থাকার পর,
পুত্র কামনায় মুনিদের আশ্রমে এসে যোগ সাধনা করতে থাকেন।
পরে মুনিরা এঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে পুত্র উত্পাদনের জন্য একটি যজ্ঞ করেন।
মধ্যরাত্রে যজ্ঞ শেষে করে,
মুনিরা মন্ত্রপুত জলপূর্ণ কলসী বেদীর উপরে রেখে ঘুমাতে যান।
উল্লেখ্য এই জল পান করলে,
যুবনাশ্বের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মুনিরা ঘুমানোর পর,
রাজা পিপাসিত হয়ে,
এই জল পান করেন।
সকালে মুনিরা জেগে উঠে,
যুবনাশ্বকে জিজ্ঞাসা করে তাঁর জলপানের বিষয়টি জানলেন।
মুনিরা বলেন,
মন্ত্রসিদ্ধ জল পানের ফলে আপনিই পুত্র প্রসব করবেন,
কিন্তু গর্ভ ধারণের ক্লেশ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
শতবর্ষ শেষে যুবনাশ্বের পার্শ্বদেশ ভেদ করে এক পুত্র নির্গত হয়। মাতৃস্তনের অভাবে পুত্র কিভাবে বাঁচবে, এই ভাবনায় রাজা খুব অস্থির হয়ে উঠলেন। এমন সময় ইন্দ্র সেখানে এসে বললেন, এই বালক আমাকে ধারণ করবে। ধাস্যতি মাময়ং অর্থাৎ আমার সাহায্যে জীবিত থাকবে। এই কারণে এঁর নাম হোল মান্ধাতা।