আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : n
ইউনিকোড: u+099E
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms): : , ইয়োঁ।

এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার একবিংশ (২১) বর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের দশম ও চ-বর্গের পঞ্চম বর্ণ স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো- ঞ্ +অ=ঞ

এটি
প্রশস্ত দন্তমূলীয় তালব্য ধ্বনি (Dorso-Alveolar, Palatal), ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                                                                        শ্রবণ নমুনা

ঞ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঞ-বর্ণটির উদ্ভূত হয়েছে
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে ঞ-এর আকার ছিল ইংরেজি এইচ বর্ণের মতো খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত এই বর্ণটি প্রায় একই ছিল তবে খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে এই বর্ণটির বাম পাশের রেখা বক্র হয়েছিল এবং এর মাথায় মাত্রার আভাষ দেখা দিয়েছিল নিচের ছকে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত ব্রাহ্মীলিপির ক্রমবিবর্তনের রূপরেখা দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ঞ-এর চেহারা অনেকটাই খ্রিষ্ট-পূর্ব ১ম শতাব্দীর ঞ--এর মতো ছিল গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের আকার হয়েছিল গ্রীক ল্যামডা বর্ণের মতো ৬ম-৯ম শতাব্দীতে কুটিললিপিতে এটি বিচিত্রভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপির পর্যন্ত ঞ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

খ্রিষ্টীয় ১০ম-১২শ শতাব্দীর কোনো নমুনা পাওয়া যায় নাই।  খ্রিষ্টীয় ১৩শ শতাব্দী বাংলা ঞ-এর আধুনিক রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ঞ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো