ইন্দ্রিয়
বানান
বিশ্লেষণ :
ই+ন্+দ্+র্+ই+য়্+অ।
উচ্চারণ:
in.d̪ri.o
(ইন্.দ্রি.ও)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
इन्द्रिय (ইন্দ্রিয়)>বাংলা
ইন্দ্রিয়।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: ইন্দ্র +ঈয়
(ঘ)
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
অঙ্গ
|
দেহাংশ
|
প্রাকৃতিক-অংশ
|
স্ব-সত্তা
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ: শরীরের এমন
একটি অঙ্গ যাতে স্নায়ুপ্রান্ত থাকে এবং যার মাধ্যমে
কোনো অনুভূতি মস্তিষ্কে সঞ্চারিত হয়।
ইংরেজি:
sense-organ
বিস্তারিত: দেহের বাইরে জগতের সম্পর্কে
ধারণা লাভের জন্য, জীবদেহে বিশেষ যোগাযোগ পদ্ধতি কাজ করে। জীবভেদে এর প্রকৃতি ভিন্ন
ভিন্ন রকমের হয়। মানুষের দেহে এই রকম পাঁচটি পদ্ধতি সচল রয়েছে। এর
প্রত্যেকটিই ইন্দ্রিয়। আর এর সবগুলো মিলে যে সম্পূর্ণ পদ্ধতি সচল থাকে, তাকে বলা হয়
পঞ্চেন্দ্রিয়।
এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা মানুষ দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শন, ঘ্রাণ ও আস্বাদনের তথ্য
পায়। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইন্দ্রিয়ের জন্য
রয়েছে কিছু সুনির্দিষ্ট জৈবিক
উপাদন। যেমন−
এর বাইরে একটি বিশেষ সঙ্কেতসংবেদী বিষয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন আছে। এই অংশ রয়েছে শরীরের সমগ্র অংশ জুড়ে। এই অংশ মূলত শরীরের আনন্দ-বেদনার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। যেমন পেটের ব্যথা হলে— শরীরে যে বেদনাদায়ক অনুভূতির জন্ম হয়, তা দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, আস্বাদন বা স্পর্শের বিষয় নয়। এই জাতীয় বিষয় শরীরের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় অনুভূত হয়। এই বিচারে মানুষের তথ্য সংগ্রাহক প্রক্রিয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়টি। শরীরের এই স্বয়ংক্রিয় তথ্য-প্রদায়ক ব্যবস্থাটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ফেলা হয় না। কারণ, এই ব্যবস্থায় শরীরের বাইরের কোনো তথ্য মস্তিষ্ক গ্রহণ করে না।
কার্যকলাপের ভিত্তিতে এই ইন্দ্রিয়গুলোকে বলা হয়−
সূত্র:
বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
ব্যবহারিক শব্দকোষ। কাজী আব্দুল ওদুদ। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী।
শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র।
wordnet 2.1