লাঙল
খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা।

পত্রিকটির প্রথম সংখ্যার প্রকাশের তারিখ ছিল- ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ১লা পৌষ (বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে)। এটি বিশেষ সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ২রা বৈশাখ (বৃহস্পতিবার ১৫ এপ্রিল ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ) পত্রিকাটির পঞ্চদশ সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়মূলত ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্ট থেকে মুজাফ্ফর আহমেদ গণবাণী নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই সময় 'লাঙল' এই পত্রিকার সাথে একীভূত হয়ে যায়।

পত্রিকাটি নজরুলের সম্পাদনায় প্রকাশিত হলেও সম্পাদকের নাম ছিল-শ্রীমণিভূষণ মুখোপাধ্যায়। আর প্রধান পরিচালক হিসেবে নাম ছাপা হতো- নজরুল ইসলাম। ত্রয়োদশ সংখ্যা থেকে নতুন সম্পাদকে নাম পাওয়া যায়- শ্রীগঙ্গাধর বিশ্বাস।

প্রকাশকের ঠিকানা ছিল- ১৫নং নয়ানচাঁদ দত্তের ষ্ট্রীট-মেট্‌কাফ প্রেসে মুদ্রিত এবং ৩৭নং হ্যারিসন রোড্ হইতে প্রকাশিত। মূদ্রাকর ও প্রকাশক- শ্রীমণিভূষণ মুখোপাধ্যায়।

প্রথম দিকে
পত্রিকার প্রথম পাতায় গরু ও লাঙলের সাহায্যে ভূমি চাষ করছেন, এমন একজন কৃষকের ছবি বৃত্তাকার ব্লকে আবদ্ধ ছবি ছাপা হতো। এর নিচে চণ্ডীদাসের একটি কাব্য-উক্তি মুদ্রিত হতো- 'শুনহ মানুষ ভাই-/সবার উপরে মানুষ সত্য/তাহার উপরে নাই।' পত্রিকাটির দশম সংখ্যা থেকে পূর্বের কৃষকের ছবিটির পরিবর্তে নতুন ছবি ব্যবহৃত হয়ে। দ্বাদশ সংখ্যা থেকে কৃষকের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছিল।

পত্রিকাটির দ্বাদশ সংখ্যা পর্যন্ত
পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১৬। ত্রয়োদশ সংখ্যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ২৪। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ সংখ্যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ২০। পত্রিকাটির মূল্য ছিল বাৎসরিক ৩ টাকা, ষান্মাসিক ১ টাকা ১০ আনা। প্রতিসংখ্যা এক আনা।