মদিনায় স্থাপিত
প্রথম ইসলামী
রাষ্ট্রের
সচিবালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিত।
রাষ্ট্রপ্রধানের দ্প্তর
১. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
এর ব্যক্তিগত সচিব : হযরত হানযালা ইবনে
আলরবি
২. পত্রলিখন ও অনুবাদ বিভাগ (সচিব) : হযরত
আলী (রা.), হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ও হযরত
জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)
৩. সচিব : হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) ও
হযরত শুরাহবিল ইবনে হাসান (রা.)
৪. সিলমোহরের আংটিটির সংরক্ষক : হযরত
মুকরি ইবনে আবি ফাতিমা (রা.)
৫. অভ্যর্থনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত :
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) ও হযরত বারাহ
(রা.)
৬. অর্থ ও হিসাব বিভাগ : হযরত মুয়ানকি
ইবনে আবি ফাতিমা (রা.)
৭. জনস্বাস্থ্য বিভাগ : চিকিৎসক হারিস
ইবনে সালাহ এবং আবিবার পুত্র
৮. শিক্ষা বিভাগ (স্বাক্ষরজ্ঞান) : হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে সাইদ (রা) ও আয়েশা
সিদ্দিকা (রা.)
৯. যাকাত ও সদ্কা বিভাগ : হযরত যোবায়ের
ইবনে আওয়াম ও যুহাইর
১০. বিজয়ের পর মক্কার প্রশাসক ছিলেন :
হযরত ইত্তাব ইবনে উসাইদ (রা.)
১১. ইয়েমেনের দায়িত্বে ছিলেন : হযরত মুয়াজ
ইবনে জাবাল (রা.)
১২. আম্মানের দায়িত্বে ছিলেন : হযরত আমর
ইবনে আজ (রা.)
১৩. ওহি বিভাগ : হযরত আবু বকর এবং ওসমান
(রা.) সহ চার খলিফা সবাই এবং হযরত জায়েদ
ইবনে আজ সাবিত (রা.), উবায় বিন কাব (রা.),
মুয়াবিয়া (রা.), খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.),
মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং আব্দুল্লাহ
ইবনে রাওয়াসহ দশজন মেধাবী-উচু মর্যাদার
সাহাবী
১৪. প্রতিরক্ষা বিভাগ : নবীজী (স.) নিজে
ছিলেন তবে অধিনায়ক হিসেবে ৭২টি নিয়োগদান
করেছিলেন
১৫. জননিরাপত্তা বিভাগ : হযরত কায়েস ইবনে
সায়াদ (রা.)
১৬. বিচারপতি হিসেবে : হযরত ওমর ও হযরত
আলী (রা.) সহ আটজন মশহুর বিদগ্ধ সাহাবী।
সূত্র :
গভর্নমেন্ট আন্ডার দ্যা প্রফেট, ফুতহুল
বুলদান, সিরাতে ইবনে হিশাম।
|
মদিনা সনদ
THE MEDINA CHARTER
ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম রাজধানী মদিনা থেকে ঘোষিত ৪৭টি ধারা সংবলিত
একটি সনদ বা সংবিধান।
৬২২ খ্রিষ্টব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর ইসলাম ধর্মের নবী
হজরত
মুহম্মদ (সাঃ) মক্কা থেকে মদিনা নগরীতে আসেন। ধীরে ধীরে নবীর
নেতৃত্বে মদিনা মুসলমানদের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে পরিণত হয়। এসময় সেখানে বসবাসরত
বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ ছিল। কলহে লিপ্ত বিভিন্ন
সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রতৃত্বতৃত্ব্য ও সম্প্রীতি স্থাপন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে হযরত মুহাম্মদ (সা:) ৪৭ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন যা পৃথিবীর
ইতিহাসে মদিনার সনদ নামে পরিচিত।
এই সনদ তৈরির
প্রায় সমসাময়িক ইতিহাসবিদ
ইবনে হিশাম (র.) তাঁর 'সিরাতুননবী (সা.)' গ্রন্থে এ সনদের ৫৩টি ধারার বর্ণনা
করেছেন। [দ্র. ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষায় অনূদিত এই গ্রন্থের
দ্বিতীয় খণ্ডের (ঢাকা : ১৯৯৪, পৃ. ১৬৩-১৭১।)] তবে উইলিয়াম মন্টেগোমারি ওয়াট তাঁর
'মুহাম্মদ অ্যাট মদিনা' গ্রন্থে এই সনদের (পৃ. ২২১-২২৫) ৪৭টি ধারা উল্লেখ করেছেন।
অধিকাংশ বাংলায় রচিত প্রায় সকল
গ্রন্থে এই সনদের সংক্ষিপ্ত রূপ পাওয়া যায়। নিচে বাংলা উইকি থেকে এই সনদের বিষয়
তুলে ধরা হলো।
এই সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি
গঠন করবে।
২) হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।
৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা
মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে
পারবে না।
৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে
পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং
সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।
৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র
নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।
৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে।
তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।
১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি
হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।
১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে
পারবে না।
১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার
বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে
ক্ষমা করা যাবে না।
http://www.constitution.org/cons/medina/con_medina.htm
থেকে প্রাপ্ত ইংরেজি অনুবাদ
THE MEDINA CHARTER
622 C.E.
In the name of God the Compassionate, the Merciful.
(1) This is a document from Muhammad the prophet (governing the relations)
between the believers and Muslims of Quraysh and Yathrib, and those who followed
them and joined them and labored with them.
(2) They are one community (umma) to the exclusion of all men.
(3) The Quraysh emigrants according to their present custom shall pay the
bloodwit within their number and shall redeem their prisoners with the kindness
and justice common among believers.
(4-8) The B. ‘Auf according to their present custom shall pay the bloodwit
they paid in heatheism; every section shall redeem its prisoners with the
kindness and justice common among believers. The B. Sa ida, the B. ‘l-Harith,
and the B. Jusham, and the B. al-Najjar likewise.
(9-11) The B. ‘Amr b. ‘Auf, the B. al-Nabit and the B. al-‘Aus likewise.
(12)(a) Believers shall not leave anyone destitute among them by not paying
his redemption money or bloodwit in kindness.
(12)(b) A believer shall not take as an ally the freedman of another Muslim
against him.
(13) The God-fearing believers shall be against the rebellious or him who
seeks to spread injustice, or sin or animosity, or corruption between believers;
the hand of every man shall be against him even if he be a son of one of them.
(14) A believer shall not slay a believer for the sake of an unbeliever, nor
shall he aid an unbeliever against a believer.
(15) God’s protection is one, the least of them may give protection to a
stranger on their behalf. Believers are friends one to the other to the
exclusion of outsiders.
(16) To the Jew who follows us belong help and equality. He shall not be
wronged nor shall his enemies be aided.
(17) The peace of the believers is indivisible. No separate peace shall be
made when believers are fighting in the way of God. Conditions must be fair and
equitable to all.
(18) In every foray a rider must take another behind him.
(19) The believers must avenge the blood of one another shed in the way of
God.
(20)(a) The God-fearing believers enjoy the best and most upright guidance.
(20)(b) No polytheist shall take the property of person of Quraysh under his
protection nor shall he intervene against a believer.
(21) Whoever is convicted of killing a believer without good reason shall be
subject to retaliation unless the next of kin is satisfied (with blood-money),
and the believers shall be against him as one man, and they are bound to take
action against him.
(22) It shall not be lawful to a believer who holds by what is in this
document and believes in God and the last day to help an evil-doer or to shelter
him. The curse of God and His anger on the day of resurrection will be upon him
if he does, and neither repentance nor ransom will be received from him.
(23) Whenever you differ about a matter it must be referred to God and to
Muhammad.
(24) The Jews shall contribute to the cost of war so long as they are
fighting alongside the believers.
(25) The Jews of the B. ‘Auf are one community with the believers (the Jews
have their religion and the Muslims have theirs), their freedmen and their
persons except those who behave unjustly and sinfully, for they hurt but
themselves and their families.
(26-35) The same applies to the Jews of the B. al-Najjar, B. al-Harith, B.
Sai ida, B. Jusham, B. al-Aus, B. Tha'laba, and the Jafna, a clan of the
Tha‘laba and the B. al-Shutayba. Loyalty is a protection against treachery. The
freedmen of Tha ‘laba are as themselves. The close friends of the Jews are as
themselves.
(36) None of them shall go out to war save the permission of Muhammad, but he
shall not be prevented from taking revenge for a wound. He who slays a man
without warning slays himself and his household, unless it be one who has
wronged him, for God will accept that.
(37) The Jews must bear their expenses and the Muslims their expenses. Each
must help the other against anyone who attacks the people of this document. They
must seek mutual advice and consultation, and loyalty is a protection against
treachery. A man is not liable for his ally’s misdeeds. The wronged must be
helped.
(38) The Jews must pay with the believers so long as war lasts.
(39) Yathrib shall be a sanctuary for the people of this document.
(40) A stranger under protection shall be as his host doing no harm and
committing no crime.
(41) A woman shall only be given protection with the consent of her family.
(42) If any dispute or controversy likely to cause trouble should arise it
must be referred to God and to Muhammad the apostle of God. God accepts what is
nearest to piety and goodness in this document.
(43) Quraysh and their helpers shall not be given protection.
(44) The contracting parties are bound to help one another against any attack
on Yathrib.
(45)(a) If they are called to make peace and maintain it they must do so; and
if they make a similar demand on the Muslims it must be carried out except in
the case of a holy war.
(45)(b) Every one shall have his portion from the side to which he belongs.
(46) The Jews of al-Aus, their freedmen and themselves have the same standing
with the people of this document in purely loyalty from the people of this
document. Loyalty is a protection against treachery. He who acquires ought
acquires it for himself. God approves of this document.
(47) This deed will not protect the unjust and the sinner. The man who goes
forth to fight and the man who stays at home in the city is safe unless he has
been unjust and sinned. God is the protector of the good and God-fearing man and
Muhammad is the apostle of God.
This text is taken from A. Guillaume, The Life of Muhammad — A
Translation of Ishaq's Sirat Rasul Allah, Oxford University Press, Karachi,
1955; pp. 231-233. Numbering added.