চান্দ্র-পঞ্জিকা
অমাবস্যার পর থেকে চাঁদের এই আলোকিত অংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পূর্ণিমাতে পরিপূর্ণতা
লাভ করে।
আবার পূর্ণিমা
থেকে চাঁদের আলোকিত অংশ হ্রাস পেতে পেতে অমাবস্যায় পৌঁছায়।
চাঁদের এই আলোকিত অংশের হ্রাস- বৃদ্ধির এক একটি অধ্যায়কে কলা বা চন্দ্রকলা বলা হয়।
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনী অনুসারে- এই কলাগুলি বিভিন্ন দেবতারা পান করে থাকেন।
নিচে এই কলাগুলোর নাম ও তার পানকর্তা দেবতাদের নামের তালিকা দেওয়া হলো-
শুক্লপক্ষীয় কলা |
||
কলা সংখ্যা |
নাম |
দেবতা |
প্রথমা কলা |
পূষা |
অগ্নি |
দ্বিতীয়া কলা |
যশা |
সূর্য |
তৃতীয়া কলা |
সুমনষা |
বিশ্বদেবগণ |
চতুর্থী কলা |
রতি |
বরুণ |
পঞ্চমী কলা |
প্রাপ্তি |
বষ্টকার |
ষষ্ঠী কলা |
ধৃতি |
চন্দ্র |
সপ্তমী কলা |
ঋদ্ধি |
স্বর্গীয় ঋষিগণ |
অষ্টমী কলা |
সৌম্যা |
বিষ্ণু |
কৃষ্ণপক্ষীয় কলা |
||
নবমী কলা |
মরীচি |
যম |
দশমী কলা |
অংশুমালিনী |
বায়ু |
একাদশী কলা |
অঙ্গিরা |
উষা |
দ্বাদশী কলা |
শশিনী |
অগ্নিস্বাত্তাদি |
ত্রয়োদশী কলা |
ছায়া |
কুবের |
চতুর্দশী কলা |
সম্পূর্ণমণ্ডলা |
শিব |
পঞ্চদশী কলা |
তুষ্টি |
ব্রহ্মা |
ষোড়শী কলা |
অমৃতা |
পানিতে প্রবেশ করে |
উল্লেখ্য অমৃতা
নামক কলা পানিতে প্রবেশ করে বলে অমাবস্যার উদ্ভব হয়।
এই কলা ঔষধিতে পরিণত হওয়ার পর গাভী খায়।
ফলে দুধ ও ঘি উৎপন্ন হয়।
সেই দুধ-ঘি দিয়ে ব্রাহ্মণেরা যজ্ঞ সম্পন্ন করে বলে- অমৃতের উৎপত্তি হয় এবং সেই
অমৃতে চন্দ্রকলা পুনরায় পূর্ণ হয়।