পৃথিবীর ক্রমবিবর্তনের কাল বিভাজন
পৃথিবীর কাল বিভাজন সম্পর্কে বিচারের আগে বিশেষভাবে জানা দরকার এর এককগুলো সম্পর্কে। ইংরেজিতে তাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভূস্তর কমিশন (International Commission on Stratigraphy) মতে পৃথিবী তৈরি হয়েছিল ৪৫৬ কোটি বছর আগে। এই সংস্থা ৪৫৬ কোটি বছর থেকে বর্তমান সময়কে কয়েকটি ভাগ করেছে। এগুলো হলো— কাল (Eon), যুগ (era), অধিযুগ (Period), অন্তঃযুগ (Epoch), আমল (Age)। নিচে এই এককগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।
কাল (Eon) : প্রায় ৫০ কোটি বা তার চেয়ে কিছু বেশি বৎসর নিয়ে একটি কাল বিবেচনা করা হয়। বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি কালকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
যুগ (era) : যুগ হলো কালের উপবিভাগ। অর্থাৎ কয়েকটি যুগ নিয়ে একটি কাল গঠিত হয়। প্রায় ১০০ কোটি বৎসর বা তার চেয়ে বেশি সময় নিয়ে একটি যুগের সময়কালকে বিবেচনা করা হয়েছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত যুগের সংখ্যা মোট ১০টি।
অধিযুগ (Period) : অধিযুগ হলো যুগের উপবিভাগ। অর্থাৎ কয়েকটি অধিযুগ নিয়ে একটি যুগ গঠিত হয়। প্রায় ১০ কোটি বৎসর নিয়ে এক একটি অধিযুগ গঠিত হয়।
অন্তঃযুগ (Epoch) : অন্তঃযুগ হলো অধিযুগের উপবিভাগ। অর্থাৎ কয়েকটি অন্তঃযুগ নিয়ে একটি অধিযুগ গঠিত হয়। প্রায় ১ কোটি বৎসর নিয়ে একটি অন্তযুগ গঠিত হয়।
আমল (Age)
:
আমল
হলো অন্তঃযুগের উপবিভাগ। অর্থাৎ কয়েকটি আমল নিয়ে একটি অন্তঃযুগ গঠিত হয়।
প্রায় ১০ লক্ষ বৎসর নিয়ে একটি আমল গঠিত হয়।
আমলের ক্ষুদ্রভাগ হিসেবে অনেক সময় আরও একটি ভাগের উল্লেখ করা
হয়। এই ভাগটি হলো-
সহস্রাব্দ-কাল।
হাজার বৎসরের হিসাবে বিভাজিত সময়কে এই নামে চিহ্নিত করা হয়।
আধুনিক কালের
হোলোসিন (Holocene)
অন্তঃযুগকে মূলত সহস্রাব্দের হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সহস্রাব্দ-কাল ১ হাজার
বৎসর থেকে ১০ হাজার বৎসরের ভিতরে হতে পারে।