হোলোসিন অন্তঃযুগ
Holocene
Epoch
১১,৬৫০ খ্রিষ্ট্রর্বাব্দ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত
সেনোজোয়িক যুগের অন্তর্গত
কোয়াটার্নারি অধিযুগের
শেষ অন্তঃযুগ। আনুমানিক ১১ হাজার ৬ শ ৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে
বর্তমান সময় পর্যন্ত এই অন্তঃযুগের
সময়সীমা ধরা হয়।
গ্রিক oλος
(holos,
সমগ্র)
এবং
καινός (kainos,
নতুন)
অনুসারে এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায়
'পুরোপুরি নতুন'। পূর্ববর্তী
প্লেইস্টোসিন অন্তঃযুগ ছিল পৃথিবীর শেষ বরফযুগ। এরপর পৃথিবীতে উষ্ণ হয়ে উঠেছিল ক্রমে ক্রমে। এই
উষ্ণতম সময়কেই হোলোসিন অন্তঃযুগ বলা হয়।
এই অন্তঃযুগে মহাদেশীয়
পৃথিবীর
পাত সঞ্চালনের গতি প্রতি ১০ হাজার বৎসরে প্রায় ১ কিলোমিটার।
এই অন্তঃযুগের শুরুতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে
গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩৫ মিটার (১১৫ ফুট)
বৃদ্ধি পেয়েছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত আছে।
এই অন্তঃযুগের ৯-৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে মেরু অঞ্চলের কাছে ৪ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
তুলনামূলক এই অন্তঃযুগে জীবজগতের নতুন প্রাণীকুলের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়
না। তবে ম্যামথ, মাস্টোডোম, সাবার-টুথ, দানব স্লথ জাতীয় বহু প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে
গেছে।
এই
অন্তঃযুগের সাব-বোরিয়াল (Subboreal)
পূর্বকালের মধ্যবর্তী সময়ে, অর্থাৎ ৪,০০০ বৎসর আগে বাংলাদেশের
সেন্টমার্টিন দ্বীপটির উত্থান শুরু হয়েছিল।
আধুনিক কালের এই অন্তঃযুগকে মোট পাঁচটি
সহস্রাব্দকালে বিভাজিত করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো−
সূত্র
https://notendur.hi.is/oi/quaternary_geology.htm
http://en.wikipedia.org/wiki/Holocene