কাতালহোয়ুক
Çatalhöyük civilization

তুরস্কের আনাতোলিয়া'র দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীন কাতালহোয়ুক নগরী এবং এই নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। প্রায় ৭১০০ থেকে ৫৭০০ খ্রিষ্টাবপূর্বাব্দের ভিতরে এই নগরী গড়ে উঠেছিল।

এই নগরীর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০.০০০। এরা দলগতভাবে বসবাস করতো। এদের বাসগৃহ ছিল কাদামাটির ইটের। সাধরাণের চলাচলের জন্য পৃথক বড় রাস্তা ছিল। এরা ঘরবাড়ির আঙিনা দিয়েই চলাচল করতো। প্রতি ঘরের প্রবেশ ও বাহিরের দরজা দিয়ে অবাধে চলাচল করতো। ফলে এদের ঘরগুলো একত্রে মৌচাকের মতো হয়ে উঠেছিল। অনেক সময় এরা মই বেয়ে ছাদে উঠে গৃহান্তের যেতো। ফলে বাড়ি ছাদ অনেক সময়ই রাস্তার মতো হবে উঠেছিল। সম্ভবত এরা গৃহনির্মাণে দলগতভাবে সবাই অংশগ্রহণ করতো। এরা বাইরের আলোবাতাস ঘরে প্রবেশের জন্য এবং ঘরে রান্না করার সময় উৎপন্ন ধোয়া বেরিয়ে যাবার জন্য ছাদে বিশেষ ধরনের গর্ত রাখতো। ঘরের দেওয়াল মসৃন করার জন্য প্রলেপ ব্যবহার করতো।
 

কাতালহোয়ুক নগরী

এরা ঘরের ভিতরেই মৃতদেহ কবর দিতো। এর জন্য তাদের কোনো পৃথক গোরস্তান ছিল না। এরা মৃদদেহকে নলখাগড়ার মাদুর দিয়ে মৃতদেহ আবৃত করে, মাটির বেশ গভীরে কবর দিত।

এদের প্রধান অস্ত্র ছিল পাথরের তৈরি কুঠার বা হাতুরি। খাদ্য ছিল পশুমাংশ এবং কিছু কৃষিজাত পণ্য। এরা স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন আঁশ দিয়ে কাপড় তৈরি করতো। এ সকল কাপড় তারা শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, যৌনাঙ্গ গাবরিত করার জন্য,  ধোয়া মোছার জন্য ব্যবহার করতো।

এদের শিল্পকর্মের ভিতরে ছিল- মাতৃদেবীর মূর্তি, দেয়ালচিত্র, মাটির তৈরি মূর্তি, মাটির পাত্র। প্রাত্যহিক গৃহকর্মে পাত্র গুলো তৈরি করতো মাটি দিয়ে। তবে কৃষি সরঞ্জামের প্রধান উপাদান ছিল পশুর হাড়।

দেয়ালচিত্র

মাতৃদেবী

ষাঁড়ের মাথা


সূত্র: