কাতালহোয়ুক নগরী |
এরা ঘরের ভিতরেই মৃতদেহ
কবর দিতো। এর জন্য তাদের কোনো পৃথক গোরস্তান ছিল না। এরা মৃদদেহকে নলখাগড়ার মাদুর
দিয়ে মৃতদেহ আবৃত করে, মাটির বেশ গভীরে কবর দিত।
এদের প্রধান অস্ত্র ছিল পাথরের তৈরি কুঠার বা হাতুরি। খাদ্য ছিল পশুমাংশ এবং কিছু
কৃষিজাত পণ্য। এরা স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন আঁশ দিয়ে কাপড় তৈরি করতো। এ সকল কাপড় তারা
শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, যৌনাঙ্গ গাবরিত করার জন্য, ধোয়া মোছার
জন্য ব্যবহার করতো।
এদের শিল্পকর্মের ভিতরে ছিল- মাতৃদেবীর মূর্তি, দেয়ালচিত্র, মাটির তৈরি মূর্তি,
মাটির পাত্র। প্রাত্যহিক গৃহকর্মে পাত্র গুলো তৈরি করতো মাটি দিয়ে। তবে কৃষি
সরঞ্জামের প্রধান উপাদান ছিল পশুর হাড়।
দেয়ালচিত্র |
মাতৃদেবী |
ষাঁড়ের মাথা |
আফ্রিকা মহাদেশের
বর্তমান নাইজার নামক রাষ্ট্রের সাহারা মরু-অঞ্চলে গড়ে ওঠা প্রাচীন সংস্কৃতি।
বোরিয়াল আমলের
৮০০০ খ্রিষ্টপূর্ব্রাদের দিকে
কিফিয়ান সংস্কৃতির
বিকাশ ঘটেছিল। আর
আটলান্টিক আমলের ৬০০০ খ্রিষ্ট্রাপূর্বাব্দ পর্যন্ত এই সংস্কৃতি টিকে ছিল।
এরা কৃষিকাজে পারদরশী ছিল। এই অঞ্চলের মানুষের উচ্চতা ছিল
৬ ফুটের বেশি ছিল।
কৃষির পাশাপাশি এরা গৃহপালিত শুকর লালন পালন করতো। শিকারের জন্য এরা বড় বড় বর্শা
ব্যবহার করতো। শিকারের পিছনে দ্রুত অনুসরণে যেমন দক্ষ ছিল তেমন শারীরীক শক্তিমত্তার
সূত্রে বড় বড় প্রাণীকে হত্যা করতে পারতো।
এই সময়ের ভাষা
আনাতোলিয়ান
উপপ্রমেয় (Anatolian
hypothesis) মতে‒
খ্রিষ্টপূর্ব ৯৮০০-৭০০০ বৎসর আগে আনাতোলিয়ার নব্য প্রস্তরযুগের সূচনা
হয়েছিল। এই সময় এই অঞ্চলের মানুষ যে ভাষায় কথা বলতো, সেই ভাষাই ছিল
প্রাগ-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা।
তবে আনাতোলিয়ান
উপপ্রমেয়ের সমালোচনা করে কোনো কোনো ভাষা বিজ্ঞানী এই অভিমত দিয়েছেন যে,
আনাতোলিয়াতে
প্রাগ-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা'র
মানুষ বাস করতো আদি ব্রোঞ্জযুগ পর্যন্ত। এই বিচারে অনুমান করা যায়
যে- খ্রিষ্টপূর্ব ৬৫০০ বৎসর পর্যন্ত
প্রাগ্-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষার
আদি মানবগোষ্ঠী
আনাতোলিয়াতে বসবাস করত।
সূত্র: