অপান মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

এতে অনামিকা ও মধ্যমার অগ্রভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে যুক্ত থাকবে। কনিষ্ঠা সটান থাকবে এবং তর্জনী ঈষৎ বঙ্কিম অবস্থায় বিযুক্ত থাকবে।
 

 

 



অপানবায়ু মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

এই মুদ্রায় অনামিকা ও মধ্যমার অগ্রভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে যুক্ত থাকবে এবং তর্জনীর অগ্রভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলীর পাশে অবস্থান করবে। এক্ষেত্রে কনিষ্ঠা সটান থাকবে এবং বিযুক্ত থাকবে।

 


 


জ্ঞানমুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

জ্ঞানমুদ্রায় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনী পরস্পরের অগ্রভাগ স্পর্শ করবে। অন্যান্য আঙুল থাকবে উর্ধমুখী। এর মধ্যে মধ্যমা থাকবে তর্জনী সংলগ্ন হয়ে। এর অগ্রভাগ থাকবে কিছুটা আনত হয়ে। অনামিকা থাকবে সোজা এবং মধ্যমার নিম্নভাগের সাথে যুক্ত থাকবে। কনিষ্ঠা থাকবে সোজা এবং অনামিকা থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এই মুদ্রা জালন্ধরবন্ধে, বীরাসনে প্রয়োগ হয়ে থাকে।


 

প্রাণ মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত হস্তমুদ্রা

অনামিকা ও কনিষ্ঠার অগ্রভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলের অগ্রভাগ দ্বারা স্পর্শ করে, তর্জনী ও মধ্যমাকে সোজা ও উন্মুক্ত রাখলে এই মুদ্রার সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ তর্জনী ও মধ্যমাকে তালুর দিকে বাঁকা করে আলতো অবস্থায় রাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। সূর্যভেদ প্রাণায়ামে এই মুদ্রা তৈরি করে বক্ষে (দুই স্তনের মাঝখানে) স্থাপন করা হয়।
 


বজ্র মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত হস্তমুদ্রা

মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠার অগ্রভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলের অগ্রভাগ দ্বারা স্পর্শ করে, তর্জনীকে সোজা ও উন্মুক্ত রাখলে এই মুদ্রার সৃষ্টি হয়। এই মুদ্রা কোনো সহজ যোগাসনে বসে করা যায়। প্রাথমিকভাবে ১ মিনিট করে এর চর্চা করা যেতে পারে। অভ্যস্থ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট করে দিনের ৩ থেকে ৫ বার এই মুদ্রার চর্চা করা যেতে পারে। এই মুদ্রার দ্বারা হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয় সবল হয়।


বরুণ মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠার অগ্রভাগ স্পর্শ করে, বাকি তিনটি আঙুল উর্ধমুখে প্রসারিত অবস্থায় রাখা হয়। এই মুদ্রা কোনো সহজ যোগাসনে বসে করা যায়। প্রাথমিকভাবে ১ মিনিট করে এর চর্চা করা যেতে পারে। অভ্যস্থ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট করে দিনের ৩ থেকে ৫ বার এই মুদ্রার চর্চা করা যেতে পারে।
 

 


বায়ু মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত হস্তমুদ্রা

তর্জনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলের ভিত্তিমূলের নরম স্থানে স্থাপন করে, বৃদ্ধাঙ্গুলের অগ্রভাগ দ্বারা চেপে ধরতে হবে। এই সময় মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠা বাইরের দিকে সটান অবস্থায় থাকবে। হাতের এই ভঙ্গিমাকে বলা হয় বায়ু মুদ্রা। এই মুদ্রা কোনো সহজ যোগাসনে বসে করা যায়। প্রাথমিকভাবে ১ মিনিট করে এর চর্চা করা যেতে পারে। অভ্যস্থ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট করে দিনের ৩ থেকে ৫ বার এই মুদ্রার চর্চা করা যেতে পারে। এই মুদ্রার দ্বারা পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয় সবল হয়।

 



ভৈরব মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি সংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

এক হাতের তালুর উপর অপর হাতের পৃষ্ঠদেশ এমন ভাবে রাখতে হবে, যেনো এই হাতের আঙুল নিচের হাতের তালুর শেষ প্রান্তে পৌঁছায়।

 


সুনয় মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি অসংযুক্ত হস্তমুদ্রা

মধ্যমার মধ্যভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা  আবদ্ধ করে, তিনটি  আঙুলকে উর্ধমুখে প্রসারিত করে রাখলে এই মুদ্রার সৃষ্টি হয়।
 

 

 

 


সুরভী মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে ব্যবহৃত এটি একটি সংযুক্ত
হস্তমুদ্রা

পদ্ধতি
১. প্রথমে হাতকে নমস্কারের ভঙ্গিতে স্থির করুন। এবার উভয় হাতের তালুকে বিচ্ছিন্ন করুন। এই অবস্থায় উভয় হাতের  আঙুলগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকবে।
২. এবার উভয় হাতের অনামিকা দ্বারা উভয় হাতের কনিষ্ঠাকে স্পর্শ করুন।
৩. এই অবস্থায় উভয় হাতের মধ্যমা দ্বারা উভয় হাতের তর্জনী স্পর্শ করুন।



 

সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক

http://www.amityoga.org/index.php/mudras/