এই পর্যায়ে পজিট্রন এবং ইলেকট্রন পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ ঘটে এবং উভয়ই ধ্বংস হয়ে যায়। এই শক্তি দুটি গামা রাশ্ম ফোটন দ্বারা বাহিত হয়
e− |
+ |
e+ |
→ | 2 γ | + | 1.02 MeV |
লাল বামন
তারা
ইংরেজি :
red
dwarf star
নক্ষত্রজগতে হাল্কা
নক্ষত্র হিসাবে এদের প্রাথমিক পরিচয় দেওয়া হয়। কারণ সৌর ভরের বিচারের এরা বেশ
হাল্কা এদের ভর সাধারণত সৌর ভরের ০.০৭৫ গুণ থেকে সৌর ভরের ০.৫০ গুণ হয়ে থাকে। এই
জাতীয় নক্ষত্রভ্রূণের উপরিতলের তাপমাত্রা ৪,০০০ কেলভিনের সামান্য কিছু নিচে
থাকে।
এই
নক্ষত্রের
ভ্রূণদশায় এর অভ্যন্তরভাগের তাপমাত্রা যখন প্রায় ১ কোটি
কেলভিনে উন্নীত হয়, তখন বস্তপুঞ্জের অভ্যন্তরে নিউক্লীয় বিক্রিয়া শুরু হয়। এই সময়
নক্ষত্রের অভ্যন্তরে প্রোটন-প্রোটন চক্র
পদ্ধতিতে
হাইড্রোজেন
থেকে
হিলিয়াম রূপান্তর ঘটে। ২টি
হাইড্রোজেন নিউক্লেই 1H
(প্রোটন)
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এর ফলে তৈরি হয় দুটি ডিউটেরিয়াম
(deuteririum)
-এ
পরিণত হয়। একই সাথে তৈরি হয় একটি পজিট্রন এবং একটি নিউট্রিনো। নিউট্রিনো মহাকাশে
পালিয়ে যায়।
1 1H |
+ |
1 1H |
→ |
2 1D |
+ |
e+ |
+ |
ν e |
+ | 0.42 MeV |
e− |
+ |
e+ |
→ | 2 γ | + | 1.02 MeV |
দ্বিতীয় ধাপ : প্রথম ধাপে উৎপন্ন
১ ডিউটোরিয়াম
আরও একটি সাধারণ হাইড্রোজেনের সাথে মিলিত হয়ে তৈরি হয় হিলিয়াম (3He)-তে
পরিণত হয়। এটি মূলত হিলিয়ামের একটি আইসোটোপ। এই সময় আরও তৈরি হয় দুটি প্রোটন এবং
১টি নিউট্রন এবং একই সাথে গামা রশ্মি নির্গত হয়।
2 1D |
+ |
1 1H |
→ |
3 2He |
+ | γ | + | 5.49 MeV |
তৃতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপে উৎপন্ন হিলিয়াম (3He)-এর সাথে একটি হাইড্রোজেন নিউক্লেই 1H (প্রোটোন) যুক্ত হয়ে হিলিয়াম (4He) উৎপন্ন হয়।
সব মিলিয়ে ৪টি হাইড্রোজনে মিলিত হয়ে হিলিয়াম (4He) তৈরি হওয়া পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা হলো-
এই বিক্রিয়ার ফলে এই জাতীয় নক্ষত্রের মোট হাইড্রোজেনের এক দশমাংশ যখন হিলিয়ামে পরিণত হয়। অর্থাৎ নক্ষত্রের কেন্দ্রে হিলিয়ামের একটি বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠে। কিন্তু এই হিলিয়াম দহনের দ্বারা নক্ষত্রের অভ্যন্তরভাগে আবার নতুন চুল্লি চালু হওয়ার জন্য যে পরিমাণ তাপমাত্রা দরকার, তা এই জাতীয় নক্ষত্রে অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয় না। উল্লেখ্য নক্ষত্রের কেন্দ্রে হিলিয়াম প্রজ্জ্বলিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ১০৮ কেলভিন। এছাড়া এবং ঘনত্বের পরিমাণ ১০৮ গ্রাম/বর্গ সেন্টিমিটার হয়, তখন নক্ষত্রের ভিতরে জমে থাকা হিলিয়ামের দহন শুরু হয়।
কিন্তু এর সাথে হাইড্রোজেন এমনভাবে মিশ্রিত থাকে যে, কেন্দ্রের বাইরের অংশে হাইড্রোজেন জ্বলে উঠতে পারে না।
আবার পর্যাপ্ত তাপমাত্রার অভাবে নক্ষত্রটির কেন্দ্রে হিলিয়ামের দহন শুরু হয় না। ফলে নক্ষত্রটি ক্রমে ক্রমে মৃত্যু বরণ করে। এই নক্ষত্রের ক্ষণস্থায়ী অপর্যাবৃ্ত্ত প্রকৃতির শক্তি নির্গমনের ফলে কখনো কখনো উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে উঠে। এই অবস্থায় রাতের আকাশে মনে হয়, তারাটিতে আগুন ধরে গেছে। এই নক্ষত্রের এই দশাকে প্রদীপ্ত তারা বলা হয়।
সূত্র :
তারা পরিচিত। মোহাম্মদ আব্দুল
জব্বার। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশান। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। ১-৫ খণ্ড।
http://en.wikipedia.org/wiki/
contemporary Astronomy/ Jay M. Pasachoff।
2nd edition
A
Brief history of time /
Stephen Hawking
Essays about Univesre/Boris A. Vorontrov-Vel'Yaminov/Mir
Pulishers Moscow/1985