উৎক্ষেপণকালে
ভয়েজার-২ |
ভয়েজার -২ (নভোখেয়া)
ইংরেজি :
Voyager-2।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণ এবং এর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা নামক সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত নভোখেয়া ভয়েজার-এর দ্বিতীয় মহাকাশ যান। এর প্রথম নভোখেয়ার নাম ভয়েজার-১ । সৌরজগতের গ্রহগুলোকে অতিক্রম করে দূর আকাশে চলে যাওয়া নভোখেয়াসমূহের ভিতরে এই নভোখেয়াটিকে তৃতীয় স্থান দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এর আগের দুটি নভোখেয়া ছিল পায়োনিয়ার সিরিজের ১০ এবং ১১ ।
১৯৬২-৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে বুধ, শুক্র এবং মঙ্গল গ্রহ পর্যবেক্ষণের জন্য মেরিনা প্রকল্প (Mariner program) গ্রহণ করেছিল। এর ভিতরে মেরিনা ১২ নামক নভোখেয়াকে ভয়েজার ২ এ উন্নীত করা হয়।
নাসা'র
নকশানুসারে এই নভোখেয়াটি তৈরি করেছিল
Jet
Propulsion Laboratory। পুরো
নভোখেয়াটির ওজন ৭২২.৯ কিলোগ্রাম। এতে ব্যবহার করা হয়েছে
Titan IIIE
নামক রকেট ইঞ্জিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এলসি-৪১ (Cape
Canaveral LC-41) নামক বিমান বাহিনীর
ঘাঁটি থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপর আশানুরূপ গতিতে এটি মহাকাশের দিকে ছুটে যায়।
ভয়েজার-২ এর যাত্রাপথের বিবরণ
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ ২০ অগাষ্ট (14:29:00 UTC) উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ ১০ ডিসেম্বর :
গ্রহাণুপুঞ্জ-বলয় (asteroid
belt) -এ প্রবেশ করে।
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ ১৯ ডিসেম্বর :
ভয়েজার-১ ভয়েজার
২-কে অতিক্রম করে।
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের অগাষ্ট মাসে এর প্রাথমিক বেতার গ্রাহক যন্ত্র বিকল হয়ে যায়।
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ ২১ অক্টোবর : গ্রহাণুপুঞ্জ-বলয় অতিক্রম করে বৃহস্পতি গ্রহের দিকে অগ্রসর হয়।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দ ৮ জুলাই : বৃহস্পতি গ্রহের আওতায় চলে আসে।
১২টা ২১ মিনিট: বৃহস্পতির ক্যালিষ্টো নামক উপগ্রহের ২১৪,৯৩০ কিলোমিটার দূর দিয়ে এই নভোখেয়াটি উড়ে যায়।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুলাই :
৭টা ১৪ মিনিট : বৃহস্পতির সপ্তম নিকটতম উপগ্রহ গ্যানিমিডেকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬২,১৩০ কিলোমিটার।
১৭টা ৫৩ মিনিট: বৃহস্পতির ষষ্ঠ নিকটতম উপগ্রহ ইউরোপাকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২০৫,৭২০ কিলোমিটার।
২০টা ১ মিনিট : বৃহস্পতির তৃতীয় নিকটতম উপগ্রহ এ্যামালথিয়াকে অতিক্রম করে। অতিক্রমকালে এ্যামালথিয়ার সাথে ভয়েজার-২ এর দূরত্ব ছিল ৫৫৮,৩৭০ কিলোমিটার।
২২টা ২৯ মিনিট : বৃহস্পতির নিকটবর্তী হয়। এই সময় বৃহস্পতির কেন্দ্র থেকে ভয়েজার-২ এর দূরত্ব ছিল ৭২১,৬৭০ কিলোমিটার।
২৩টা ১৭ মিনিট: বৃহস্পতির সর্ব নিকটতম উপগ্রহ আইও-কে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১,১২৯,৯০০ কিলোমিটার।
২টা ১৫ মিনিট :
১৭টা ৮ মিনিট : বৃহস্পতির চতুর্থ নিকটতম উপগ্রহ গ্যানিমিডেকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-১ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১২৬,৪০০ কিলোমিটার।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অগাষ্ট ভয়েজার-২ বৃহস্পতির এলাকা ছেড়ে শনি গ্রহের দিকে রওনা দেয়।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অগাষ্ট ভয়েজার-২ শনির এলাকায় প্রবেশ করে।
১টা ২২ মিনিট : শনির আয়াপ্টাস নামক উপগ্রহকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৯০৮,৬৮০ কিলোমিটার।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ আগষ্ট ভয়েজার-২ শনির আরও নিকটবর্তী হয়।
১টা ২৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ড: শনির সপ্তম নিকটতম উপগ্রহ হাইপেরিয়ানকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৪,৩১,৩৭০ কিলোমিটার।
৯টা ৩৭ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড: ষষ্ঠ নিকটতম উপগ্রহ টাইটানকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬,৬৬,১৯০ কিলোমিটার।
২২টা ৫৭ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড: শনির হেলেনে নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩১৪,০৯০ কিলোমিটার।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগষ্ট ভয়েজার-২ শনির আরও কেন্দ্রে দিকে অগ্রসর হয়।
১টা ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ড : শনির ডায়ানো নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৫,০২,৩১০ কিলোমিটার।
২টা ২২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড : শনির ক্যালিপ্সো নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১৫১,৫৯০ কিলোমিটার।
২টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ড: শনির সর্ব নিকটতম উপগ্রহ মিমাসকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩,০৯,৯৩০ কিলোমিটার।
৩টা ১৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড : শনির প্যান্ডোরা নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১,০৭,০০০ কিলোমিটার।
৩টা ২৪ মিনিট ০৫ সেকেন্ড : শনির কেন্দ্র থেকে ১,৬১,০০০ কিলোমিটার দূরে ভয়েজার-২ পৌঁছায়।
৩টা ৩৩মিনিট ০২ সেকেন্ড : শনির এ্যাটলাস নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২,৮৭,০০০ কিলোমিটার।
৩টা ৪৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ড: শনির দ্বিতীয় নিকটতম উপগ্রহ এনসেলাডাসকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৮৭,০১০ কিলোমিটার।
৩টা ৩৩মিনিট ০২ সেকেন্ড : শনির জানুস নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২,২৩,০০০ কিলোমিটার।
৪টা ৫মিনিট ৫৬সেকেন্ড : শনির এপিমেটথিয়ুস নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১,৪৭,০০০ কিলোমিটার।
৬টা ২মিনিট ৪৭সেকেন্ড : শনির টেলেস্টো নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২,৭০,০০০ কিলোমিটার।
৬টা ১২মিনিট ৩০সেকেন্ড : শনির তৃতীয় নিকটতম উপগ্রহ টেথিসকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৯৩,০১০ কিলোমিটার।
৬টা ২৮মিনিট ৪৮সেকেন্ড: শনির পঞ্চম নিকটতম উপগ্রহ রিয়াকে অতিক্রম করে। ভয়েজার-১ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬,৪৫,২৬০ কিলোমিটার।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগষ্ট শনির ফিবি নামক উপগ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২০,৭৫,৬৪০ কিলোমিটার।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি ভয়েজার-২ ইউরেনাস-এর এলাকায় প্রবেশ করে।
১৬টা ৫০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড : ইউরেনাস-এর মিরান্ডা নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ২৯,০০০ কিলোমিটার।
১৭টা ২৫ মিনিট ০০ সেকেন্ড : ইউরেনাস-এর ৪টি
উপগ্রহের নিকটবর্তী হয়। এগুলো হলো
এরিয়েল : ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল
১,২৭,০০০ কিলোমিটার।
আমব্রিয়েলা : ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল
৩,২৫,০০০ কিলোমিটার।
টাইটানিয়া : ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল
৩,৬৫,২০০ কিলোমিটার।
ওবেরোন : ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল
৪,৭০,০০০ কিলোমিটার।
১৭টা ৫৯ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড : ইউরেনাস-এর কেন্দ্র থেকে ১,০৭,০০০ কিলোমিটার।
১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ অগাষ্ট ভয়েজার-২ নেপচুনের এলাকায় প্রবেশ করে।
৩টা ৫১মিনিট ৩৬সেকেন্ড : নেপচুনের নিকটে পৌঁছায়। ভয়েজার-২ থেকে এর কেন্দ্রের দূরত্ব ছিল ২৯,২৪০ কিলোমিটার।
৪টা ৫১মিনিট : নেপচুনের-এর লারিসা নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬০,১৮০ কিলোমিটার।
৫টা ২৯মিনিট : নেপচুনের-এর প্রোটেয়ুস নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৯৭,৮৬০ কিলোমিটার।
৯টা ২৩মিনিট : নেপচুনের-এর ট্রাইটোন নামক উপগ্রহ অতিক্রম করে। ভয়েজার-২ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩৯,৮০০ কিলোমিটার।
১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ অক্টোবর ভয়েজার ২ সৌরজগৎ থেকে মহাকাশের পথে রওনা দেয়।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসের শেষার্ধে ভয়েজার-২ নভোখেয়া ১৫৩৫,কোটি কিলোমিটার দূরে পৌঁছায়।
সর্বশেষ দূরত্ব জানতে হলে দেখুন :
http://voyager.jpl.nasa.gov/
ভয়েজার-২ রক্ষিত সোনালি রেকর্ড
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাকাশের কোথাও হয়তো মানুষের মতো বা মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে। ভয়েজার-২ যদি এদের নজরে আসে, তাহলে তাদের কাছে পৃথিবীর মানুষ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য কিছু সাঙ্কেতিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই সাঙ্কেতিক তথ্য দেওয়া হয়েছে একটি ফোনোগ্রাম রেকর্ডে। এই রেকর্ডটি তামার তৈরি। তবে এর উপর স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে একে সোনালী রেকর্ড (Golden Record) নামে অভিহিত করা হয়। রেকর্ডির ব্যাস ১২ ইঞ্চি। এই রেকর্ডে রয়েছে পৃথিবীর জীবজগৎ এবং মানুষের সংস্কৃতির পরিচয় প্রদায়ক নির্বাচিত শব্দ, ছবি ও উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম।
এই রেকর্ডের বিষয়াবলী নির্বাচন করেছেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ল স্যাগান। এই রেকর্ডের জন্য স্যাগান তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ১১৫টি ছবি নির্বাচন করে নাসাকে প্রদান করেছিলেন। একই সাথে তিনি নানা ধরনের প্রাকৃতিক শব্দ নির্বাচন করে দিয়েছিলেন এই রেকর্ডের জন্য। এর ভিতরে রয়েছে বাতাসের শব্দ, বজ্রপাতের শব্দ, পাখির ডাক, তিমির শব্দময় সঙ্কেত এবং অন্যান্য প্রাণীর ডাক। এছাড়া তিনি বিভিন্ন জাতির নানা ধরনের সঙ্গীতের নমুনা, ৫৫টি ভাষার কথ্য নমুনা নির্বাচন করে দেন। মুদ্রিত পাঠ হিসেবে এই রেকর্ডে রয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান কার্টার এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াল্ডহেইমের বক্তৃতা। এই রেকর্ডটি একটি এ্যালুমুনিয়াম-এর মোড়কে আবৃত করে নভোখেয়ার ভিতরে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। এছড়া এতে প্রাচীন কথ্য নমুনা হিসেবে প্রায় ৬০০০ বৎসর আগের আক্কাদিয়ান ভাষার কথন-রূপের শব্দ। কালানুক্রমে উল্লেখযোগ্য ভাষার নমুনা রয়েছে অল্পবিস্তর। তবে আধুনিক চীনা কথ্যরূপের Wu দিয়ে ভাষা নমুনা দিয়ে শেষ করা হয়েছে। কি করে এই রেকর্ডটি চালিয়ে তথ্যগুলো অনুধাবন করা যাবে তার এর সাথে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে সাঙ্কেতিক ভাষায়। উল্লেখ্য এই রেকর্ডির ঘূর্ণ গতি ১৬-২/৩- প্রতি মিনিট।
সোনালি রেকর্ডের সঙ্কেত
এই রেকর্ডের বাম দিকের উপরে রয়েছে এই রেকর্ডের ঘূর্ণ গতি সম্পর্কিত চক্রাকার
সঙ্কেত। এই চক্রের উপরে রয়েছে দ্বি-আঙ্কিক পদ্ধতির I
=১ এবং
―
=
0
অনুসারে গতি দেখানো হয়েছে। এর নিচে রয়েছে রেকর্ডির
বাদনকাল সম্পর্কিত তথ্য। এই সঙ্কেতের দ্বারা বুঝানো হয়েছে, রেকর্ডের প্রতিটি ১
ঘণ্টার বাদন উপকরণ করেছে। এর নিচে রয়েছে সূর্য পরিচিতি। ডানদিকের উপর ও মধ্যাংশ
সচলচিত্রের সঙ্কেত এবং সর্ব নিম্নে রয়েছে হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেক্ট্রন ও
প্রোটনের নকশা।
ভয়েজার-২ যোগাযোগ উপকরণ
পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য এর সাথে আছে ৩.৬৬ মিটার ব্যাসের এ্যান্টিনা। এই এ্যান্টিনার দ্বারা নভোখেয়াটি পৃথিবীর তিনটি 'ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক' স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করে চলেছে। পৃথিবী থেকে ভয়েজার-১ এ তথ্য প্রেরণ হয় 2114.676697 MHz -এ। পক্ষান্তরে ভয়েজার -১ থেকে তথ্য আসে 2296.481481 MHz এবং 8420.432097 MHz। কোনো কারণে ভয়েজার-১ যদি সরাসরি পৃথিবীতে কোনো তথ্য পাঠাতে না পারে, তবে প্রথমে এই অপ্রেরিত তথ্য একটি ডিজিটাল টেপে ধারণ করে রাখা হয় এবং পরে তা উপযুক্ত সময়ে প্রেরণ করা হয়। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের অগাষ্ট মাসে ভয়েজার -১ যে দূরত্বে পৌঁছেছিল, সেখান থেকে পৃথিবীতে তথ্য আসতে সময় লেগেছিল ১৭ ঘণ্টা।
ভয়েজার-২ এর গবেষণা উপকরণ
ভয়েজার-২ এর আকাশ পর্যবেক্ষণ উপকরণের ভিতরে রয়েছে ২টি সরু কৌণিক/বিস্তৃত কৌণিক
ক্যামেরা। বিশেষ নিয়ন্ত্রাধীন এই ক্যামেরা চালিত হয়
Imaging Science System নামক একটি
ব্যবস্থাপনায়। এখন পর্যন্ত ভয়েজার এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ এবং
এদের উপগ্রহের নানা রকম ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। গবেষণার জন্য ব্যবহৃত এর
Radio Science System
দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ
এবং উপগ্রহের আবহাওয়া, মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র, ঘনত্ব ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে―
অবলোহিত রশ্মি মাপক, অতিবেগুনি রশ্মি মাপক, প্লাজমা বিশ্লেষক, প্লাজমা তরঙ্গ মাপক,
কসমিক রশ্মি বিষয়ক যন্ত্রপাতি রয়েছে।
ভয়েজার-২ এর চালিকা শক্তি
ভয়েজার-২ -এ রয়েছে তিনটি
radioisotope thermoelectric generators (RTGs)।
এই জেনারেটে ব্যবহৃত হয় প্লুটোনিয়াম-২৩৮। ভয়েজার উৎক্ষেপণ কালে এই জেনারেটর থেকে
৪৭০ ওয়াট বিদ্যুৎ প্রদান করছিল।
সূত্র :
http://www.nasa.gov/