Kingdom: Plantae
Order: Cucurbitales
Family: Cucurbitaceae
Genus: Trichosanthes
Species: T. dioica

পটল
বানান বিশ্লেষণ: প্+অ+ট্+অ+ল্+অ
উচ্চারণ:
[প.টোল্] [.ʈol]
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত पटल পটল>বাংলা পটল
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ | ভাস্কুলার উদ্ভিদ | উদ্ভিদ | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
পটল [উদ্ভিদ]
বৈজ্ঞানিক নাম: Trichosanthes dioica Roxb.

Cucurbitaceae গোত্রের এক ধরনের বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এই গাছের ফল (পটল) সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ, ভারতের পূর্বাঞ্চলের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা  বিহার এবং ভারতের উত্তর প্রদেশ চাষ করা হয়ে থাকে।

 ছবি বেণুবর্ণা

এই লতার প্রতিটি গাঁইট থেকে মূল বের হয়। এর পাতা বেশ খসখসে। পাতার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৫০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৫ সেন্টিমিটার। পাতার অগ্রভাগ সরু। দেখতে প্রতীকী হৃদপিণ্ডাকার। এর বোঁটা পশমযুক্ত। বোঁটার দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৫ সেন্টিমিটার।

পটল গাছের ফুলগুলো একলিঙ্গিক। এর পুরুষ ফুলগুলো জোড়া জোড়া থাকে। স্ত্রীফুল এককভাবে দেখা যায়। স্ত্রীফুলে পুষ্পদণ্ড বেশ ছোট। এর পুষ্পনলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ সেন্টিমিটার।

পটল ফল দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬-১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ফলটি প্রায় গোলাকার সিলিণ্ডারের মতো, কিন্তু ফলের উভয় প্রান্ত অপেক্ষাকৃত কম ব্যাসযুক্ত হয়ে থাকে। কাঁচা ফলের রঙ সবুজ। পাকলে হলদেটে হয়ে যায়। এর দৈর্ঘ্য বরাবর ৯-১০টি সাদাটে চওড়া রেখা থাকে। এর বীজচেপ্টা, কিনারা ঢেউ খেলানো।

বাংলাদেশে দুই জাতের উচ্চফলনশীল পটল বেশি চাষ করা হয়। এই জাত দুটি হলো বারি পটল-১ ও বারি পটল-২।

শাখা কলম ও কন্দ মূল (শিকড়) সব পদ্ধতিতেই পটলের বংশ বিস্তার করা যায়। বাণিজ্যিক চাষের জন্য শাখা কলম ও কন্দ মূল ব্যবহার করা ভালো এবং লাভজনক। বীজতলায় কিংবা সরাসরি জমিতে শাখা কলম বা কন্দ মূল লাগিয়ে চারা উৎপাদন করা যায়। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত যে কোনো সময় জমিতে পটলের লতা লাগানো যায়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পটল গাছ লাগানোর উত্তম সময়। পটলের কলম লাগিয়ে প্রায় সারা বছরই পটল উৎপাদন করা যায়। বীজ থেকে চারা পাওয়া সম্ভব হলেও, এর সাহায্যে উন্নতমানের পটল উৎপাদন করা যায় না। 

পটলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ ও সি আছে। এছাড়া এতে স্বল্প পরিমাণে ম্যাগ্নেসিয়াম, তামা, পটাসিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন আছে।
সাধারণত বাংলাদেশে পটল ভর্তা, ভাজি, নিরামিশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে মাছের সাথে তরকারি হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।

কবিরাজি চিকিৎসায় পটলের পাতা, মূল, ফল ব্যবহৃত হয়। এর পাতা বা মূলের রস বা ক্বাথ জ্বর নাশক। এর ফল পুরুষের শুক্রগত রোগ নিরাময়ের সহায়ক।


সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। দ্বিতীয় খণ্ড। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।
পটলচাষ সংক্রান্ত তথ্য:
http://agrobangla.com/ পটল