Kingdom:
Animalia |
গোশালিক
ইংরেজি :
Pied Myna, Asian Pied Starling।
বৈজ্ঞানিক নাম :
Sturnus contra,
Linnaeus, 1758।
Sturnidae গোত্রের ময়না
জাতীয় এক প্রকার পাখির
সাধারণ নাম। বাংলাদেশে একে
শালিক-এর একটি পৃথক প্রকরণ হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। এই
পাখি ভারত উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় পাখি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
পাহাড়ের নিম্ন পাদদেশে বা সমতল ভূমিতে এদের বেশি দেখা যায়। ভারতবর্ষে এই পাখি সব
চেয়ে বেশি দেখা যায় গাঙ্গেয় উপত্যাকায়। তবে দক্ষিণ ভারতের কৃষ্ণা নদী পর্যন্ত এদের কমবেশি দেখা যায়।
ভারতে পশ্চমাঞ্চলে অর্থৎ পশ্চিমের
পাকিস্তান এই পাখি অল্পবিস্তার বাস করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে
ইন্দোনেশিয়াতে এই পাখি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই পাখি দেখা
যায়, কিন্তু শহরাঞ্জলে এদের দেখা যায় না।
এদের আকার সাধারণ শালিক-এর চেয়ে ছোটো। এদের চোখের পাশে সাদা দাগ আছে। পিঠের দিক, গলা এবং মাথার উপরের অংশের রঙ কালচে-ধূসর। বুকের দিকটা সাদাটে। ডানার প্রান্তদেশে এবং ঘাড়ের দিকে সামান্য সাদা রংএর পালক আছে।
এরা সাধারণত ছোটো ছোটো দলে বিচরণ করে। বিশেষ করে কৃষি জমিতে এবং পশুচারণ ভূমিতে গবাদি পশুর সাথে সাথে থাকে। রাতের আশ্রয়ের জন্য গাছের উঁচু ডালে থাকে। এরা বিবিধ রকম শব্দ করতে পারে। খাবারের জন্য এরা মাটিতেই বেশির ভাগ সময় কাটায়। এদের প্রধান খাদ্য শস্যকণা, ফল, পতঙ্গ, ও শামুক জাতীয় প্রাণী।
এদের প্রজনন কাল মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর। গাছের উঁচু ডালে এরা অগোছালোভাবে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখি এক সাথে ৩-৪টি ডিম দেয়। ১৪-১৫ দিন ডিমে তা দেওয়ার পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। পিতা-মাতা উভয়ই পালাক্রমে বাচ্চাকে খাওয়ায় এবং যত্ন নেয়। এদের উড়া শিখতে প্রায় ৩ সপ্তাহ লাগে। এরপর এরা স্বাধীন জীবনযাপন শুরু করে।
সূত্র
পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।
http://ibc.lynxeds.com/photo/asian-pied-starling-gracupica-contra/bird-grass