|
পাখি
bird
প্রাণিজগতের
এভিস
শ্রেণির সকল প্রজাতির সাধারণ নাম। প্রাণিজগতের
ক্রমবিবর্তনের ধারায় প্রায় ১৬ কোটি বৎসর আগে
জুরাসিক অধিযুগে এক প্রকার চতুর্পদী প্রাণী
তথা
টেট্রাপোডা নামক
মেরুদণ্ডী প্রাণীর থাক
থেকে পাখির উদ্ভব ঘটেছিল। আদি কালের সে সব পাখির অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে
গেছে। ক্রমবিবর্তনের ধারায় বর্তমানে যে সকল পাখি দেখা যায়, তাদেরকে আধুনিক পাখি বলা
হয়।
বর্তমানে প্রায় ১০,০০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। আকারের দিক থেকে ৫
সেন্টিমিটার আকারের হামিংবার্ড থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার আকারের উট পাখি রয়েছে।
পাখি মেরুদণ্ডী এবং একলিঙ্গিক প্রাণী। স্ত্রী পাখি শক্ত খোলসযুক্ত
ডিম পাড়ে। এদের দেহ পালক দ্বারা আবৃত এবং দন্তহীন। এদের সম্মুখের দুটি প্রত্যঙ্গ
পাখায় রূপান্তিরত হয়েছে। অধিকাংশ পাখি পাখায় ভর করে আকাশে উড়তে পারে। উটপাখির মতো
কিছু পাখি উড়তে পারে না। এদের হৃদপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ আছে। উড়তে পারে এমন সকল পাখির
অস্থি অত্যন্ত হাল্কা কিন্তু মজবুত। ফলে এদের শরীর অত্যন্ত হাল্কা হয়ে থাকে।
কিছু কিছু কোনো বিশেষ স্থানে বসবাস করে। আবার কিছু পাখি ঋতু পরিবর্তনের কারণে, আবহাওয়ার উষ্ণতা বা শীতলতার কারণে অনুকুল স্থানে উড়ে যায়। আবার আবহাওয়া পরিবর্তন হলে, এরা আগের স্থানে ফিরে যায়। এদেরকে পরিব্রাজক পাখি বলা হয়।
বসবাসের বিচারে পাখি বৃক্ষচারী, স্থলচর বা
স্থলচর হতে পারে। প্রজাতিভেদ এরা সমুদ্র-উপকূলে, মরুঞ্চলে, গভীর অরণ্যে, তৃণাঞ্চলে
বদবাস করে।
খাদ্য গ্রহণের প্রকৃতি অনুসারে পাখি শস্যকণা, ফল, ফুলের মধু, কীটপতঙ্গ, মাছ, ছোটো
ছোটো স্তন্যপায়ী প্রাণী, সাপ, উভচর ইত্যাদি আহার করে থাকে।
কিছু কিছু বিভিন্ন শব্দ অনুকরণ করতে পারে। এই জাতীয় কিছু পাখিকে মানুষের অনুকরণে কিছু ধ্বনি শেখানো হয়। ময়না, টিয়া ইত্যাদি কিছু পাখিকে কথা বলা পাখি বলা হয়।
পাখির ক্রোমোজোমের প্রকৃতিকে Z এবং W নামে চিহ্নিত করা হয়। স্ত্রী পাখির ক্রোমোজোম হয়- ZW, পক্ষান্তরে পুরুষ পাখির থাকে দুটি Z (ZZ) ক্রোমোজোম।
দেখুন : পাখির তালিকা