প্রাণিজগৎ/প্রাণিরাজ্য
[অভিধান: প্রাণিজগৎ]
Animal Kingdom,  Animalia

জীবজগতের একটি অন্যতম শাখা। ল্যাটিন Animalis (এ্যানিমালিস) শব্দের অর্থ হলো- জীবন্ত সত্তা। এই শব্দ থেকে Animal শব্দটি গৃহীত হয়েছে। জীববিজ্ঞানে জীবরাজ্যের সকল প্রাণীকে Animalia নামে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

প্রধান বৈশিষ্ট্য
এরা
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ
-যুক্ত জীব। এদের অধিকাংশ প্রজাতি বহুকোষী। এই সূত্রে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস থেকে এদেরকে প্রাথমিকভাবে পৃথক সত্তায় পরিণত করেছে। বহুকোষী প্রজাতিসমূহের একটি অংশ নিজেদের খাদ্য শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি করে, অন্যেরা তা পারে না। এই বিচারে প্রাথমিকভাবে স্বভোজীদেরকে উদ্ভিদ এবং পরভোজীদের মধ্যে প্রাণীদের দলে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু পরভোজী সকল প্রজাতিই প্রাণী নয়। যেমন ছত্রাক। এক্ষেত্রে অন্যভাবে পরভোজীদের পৃথক করা হয়ে থাকে। মূলত প্রাণী পরভোজী এবং চলাচল করতে পারে। আবার বেঁচে থাকার জন্য প্রাণী সর্বার্থে পরভোজী নয়। কারণ দেহের প্রয়োজনে এরা পানি এবং বাতাস এরা প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে থাকে।

প্রাণিজগতের অধিকাংশ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র আছে। এই কারণে এরা দ্রুত কোনো উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এরা যৌন-প্রজনন করে থাকে। তবে সকল প্রজাতি যৌন-প্রক্রিয়া একই রকমের নয়। এই প্রক্রিয়ায় নিজ দেহ থেকে সন্তানের জন্মদান করলেও, জন্মদানের প্রক্রিয়া একই রকমের হয় না। 

ক্রমবিবর্তনের ধারা
হৃয়াসিয়ান অধিযুগ (২৩০-২০০.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) হুরোনিয়ান বরফযুগের শেষ হয়। ২১০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে আদি জীবকণিকাগুলোর একটি অংশ বিবর্তিত হয়ে সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ  -যুক্ত জীবে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা এই আদি জীবকুলকে ইউক্যারিয়েটা জীবস্বক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন ২৫০-১৬০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্যালেপ্রোটারোজোয়িক যুগে এই জীবকোষভিত্তিক জীবের বিকশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২১০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে আবির্ভূত গ্রাইপেনিয়া  (Grypania) নামক শৈবালের জীবাশ্মে এই জাতীয় কোষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ভূতত্ত্ববিদরা
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৭০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কিছু পাথরের গায়ে কিছু তৈলাক্ত পদার্থ পেয়েছিলেন। এই তেলের ভিতর ছিল স্টেরোয়েড এ্যালকোহল। যেহেতু এই এ্যালেকোহল-যুক্ত ফ্যাটি এ্যাসিড একমাত্র নিউক্লিয়াস-যুক্ত কোষে  পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা যায় নিউক্লিয়াসযুক্ত  জীবকোষের উদ্ভব এই যুগেই হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে,
নিউক্লিয়াস-যুক্ত কোষের সূত্রে একক জীব কণিকার সমন্বয়ে একটি নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল। এই ধরনের জীব-কণিকাগুলোর কিছু কিছু প্রজাতি পারস্পরিক স্বার্থে একটি সাথে সহাবস্থানে থাকতো। এদের একটি অক্সিজেন থেকে কার্বোহাইড্রেড  জাতীয় জৈবিক খাদ্য প্রস্তুত করতে পারতো এবং এই কার্বোহাইড্রেড অপর জীবকণিকাকে প্রদান করতো। অপর জীবকণিকা এই চিনি গ্রহণ করে, তা থেকে শক্তি উৎপাদন করতো এবং তা উভয় জীবকণিকা ভাগাভাগি করে নিত।

ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগে (১৬০-১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত জীবের আবির্ভাব ঘটে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী প্রজাতি। এই সময়ে আবিরভূত হয়েছিল  Tappania plana নামক ইউক্যারিয়েটিক স্বক্ষেত্রের প্রজাতি। উল্লেখ্য এই প্রজাতির জীবাশ্মের বয়স ধরা হয়েছ ১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

এক্টাসিয়ান অধিযুগে (১৪০-১২০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) প্রথম জীবজগতে যৌন-আচরণযুক্ত বংশবিস্তার শুরু হয়েছিল। ফলে পুং ও স্ত্রী যৌনাঙ্গ বিকশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য আগের অধি যুগগুলোতে জীবের বংশ বিস্তার হতো শুধু কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় বংশগতিতে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যেতো না। কিন্তু যৌন-বংশবিস্তারের কারণে দুটি পৃথক জীবের মিশ্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের তৈরি হওয়া শুরু হয়।

এই সময়ের সাগরজলে ভাসমান ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে ক্ষণপদ তৈরির ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ক্ষণপদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি  হলো-

গোড়ার দিকে পোডিয়াটাদের সকল প্রজাতিরই সবই একটি ফ্লাজেলা ছিল। পরে এদের কোনো কোনো প্রজাতির ফ্লাজেলা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে বর্তমানে এই থাকের কোনো কোনো প্রজাতির দেহে ফ্লাজেলা দেখা যায় না।

১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
একটি ফ্লাজেলা বিশিষ্ট পোডিয়াটা জীবকুল থেকে উদ্ভব হয়েছিল ইউনিকোন্টা এবং ভারিসুকালা।

প্রায় ১০৩.১-১০০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ইউনিকোন্টা দুটি ধারায় বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ধারা দুটি হলো- ওবাজোয়া ও এ্যামিবোজোয়া।

হোলোজোয়কে বলা হয়- প্রাণীজগতের আদিম ধাপ। মূলত ছত্রাক জাতীয় নয় এমন বৈশিষ্ট্য ধরেই হোলোজোয়াকে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃত পক্ষে ছত্রাকের চেয়ে প্রাণীর সাথে এদের মিল ছিল বেশি। ১০০-৭৮.২২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে হোলোজোয়া ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-

মূলত ৯৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে ফিলোজোয়া থাকের জীব দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো-

৯০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে চোয়ানোজোয় থাকের প্রাণিকুল বিভাজিত হয়ে উৎপন্ন হয়েছিল চোয়ানোফ্লাগেল্লাটিয়া শ্রেণির অন্তর্গত প্রজাতিসমূহ। এরা ছিল এককোষী। জীববৈশিষ্ট্যের বিচারে এরা ছিল প্রাণীর খুব কাছাকাছি।

৮৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ক্রায়োজেনিয়ান বরফযুগের শুরু হয়েছিল।  এই সময় বরফশীতল ঠান্ডা পানিতে জীবজগতের বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। অভিযোজন প্রক্রিয়া টিকে থাকার সূত্রে অবশিষ্ট  প্রাণীর খুব কাছাকাছি জীবগুলো বহুকোষী প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল। তবে চোয়ানোজোয় থাক থেকে প্রকৃত প্রাণিজগৎ তথা এ্যানিমেলিয়া-র উদ্ভব হয়েছিল ৬৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

৬৩.৫-৫৪.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ অবধি বিদ্যমান ছিল। এই সময়ের ভিতরে বহুকোষী প্রাণীজগৎ দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো- পরিফেরা এবং ইউমেটাজোয়া। প্রাণী জগতের এই বিভাজনের মধ্য দিয়ে পরিফেরা একটি পৃথক সত্তারূপে বিকশিত হয়েছিল। কিন্তু এই বিকাশ উন্নতর প্রাণীর পর্যায়ে যেতে পারে নি। কিন্তু  ইউমেটাজোয়া থেকে পরবর্তী পর্যায়ের প্রাণীকুলের উদ্ভবের পথ উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল।

৬০.৫২ কোটি থেকে ৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে ইউমেটাজোয়া উপরাজ্য ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ টি হলো-

এদের ভিতরে  ৫৫.৮-৫৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে ট্রাইলোবোজোয়া পর্ব থেকে তিনটি গোত্রের প্রাণিকুলের আবির্ভাব হয়েছিল। ৫৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই পর্বের সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। অপর দুই ভাগের ভিতরে টিনোফোরা পর্বের প্রাণীদের দেহ দ্বি-অরীয় প্রতিসম দশায় পৌঁছেছিল। এদের চলাচলের জন্য দেহের বাইরে আট সারির চিরুনির মতো অঙ্গ আছে। এদের অধিকাংশ প্রজাতি এই চলনাঙ্গের সাহায্যে সমুদ্রের জলে মুক্তভাবে ভেসে বেড়ানোর মতো দশায় পৌঁছিল। এই পর্বের কিছু প্রজাতি আবার সমুদ্রতলে হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করতো। প্রজননের বিচারে এরা ছিল উভলিঙ্গিক। এই পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত হাইড্রা, জেলিফিস জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে প্যারাহোক্সোজোয়া থাক উন্নতর প্রাণির উদ্ভবের পথকে সচল রেখেছিল।

৬০.৫-৫৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে  প্যারাহোক্সোজোয়া  থাকের প্রজাতিগুলো ৩টি পর্বে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই পর্বগুলো হলো-প্লাকোজোয়া, নিডারিয়াবিলাটেরিয়া

প্রাণীজগতের ক্রমবিবর্তনের পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েও প্লাকোজোয়া এবং নিডারিয়া জাতীয় প্রাণীকুল, উন্নতর প্রাণীর সৃষ্টিতে থেমে গিয়েছিল। এই প্রক্রিয়া সচল হয়ে উঠেছিল বিলাটেরিয়া থাকের প্রজাতিগুলোর মধ্য দিয়ে।

বিলাটেরিয়া থাকের আবির্ভাবকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয় ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। প্যারাহোক্সোজোয়া থাকের অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মাথার গঠন উন্নতর হয়েছিল। বাইরের জগতের সংকেত পাওয়ার জন্য এদের মাথায় যুক্ত হয়েছিল এ্যান্টেনা। এছাড়া পানিতে চলাচলের জন্য লেজের উদ্ভব হয়েছিল। এদের শরীরের ডান ও বাম অংশকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া এদের রয়েছে দ্বিক্ষ বিশিষ্ট পরিপাকতন্ত্র, খাদ্য গ্রহণের জন্য মুখ এবং পরিপাকের পর বর্জ্য পদার্থ নির্গমের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল পায়ু পথ। এসব দৈহিক কার্যক্রমের সূত্রে এদের স্নায়ুতন্ত্রও বেশি সুগঠিত হয়ে উঠেছিল।

৫৬ থেকে ৫৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বিলাটেরিয়া থাক থেকে দুটি পর্ব এবং একটি থাকভুক্ত প্রাণিকুলের উদ্ভব হয়েছিল। এগুলো হলো- প্রোয়ার্টিকুলাটা পর্ব, জেনাকোয়েলোমোর্ফা পর্ব এবং নেফ্রোজোয়া থাক। এদের ভিতরে জেনাকোয়েলোমোর্ফা পর্বের প্রজাতিসমূহের আবির্ভাব হয়েছিল ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। আর এর সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ৫৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে।

বিলাটেরিয়া থাকের অপর থাক 'প্রোয়ার্টিকুলাটা' আবির্ভাবকাল ছিল ৫৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এরাই ৫৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে বিলুপ্ত হয়ৈ গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাণীর ক্রমবিবর্তনের ধারক ও বাহকের ভূমিকা নিয়েছিল নেফ্রোজোয়া থাকের প্রজাতিসমূহ।

নেফ্রোজোয়া থাকের আবির্ভাবকাল ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। ক্রমবিবর্তনের ধারায় এদের দেহে সিলোম ও স্নায়ুরজ্জুর আবির্ভাব ঘটেছিল। ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগের শুরু দিকে (৫৪.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), নেফ্রোজোয়া থাকটি দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগ দুটি হলো- প্রোটোস্টোমিয়া থাক ও ডুটারিস্টোমিয়া ঊর্ধবপর্ব।




 

The remaining animals form a monophyletic group called the Bilateria. For the most part, they are bilaterally symmetric, and often have a specialized head with feeding and sensory organs. The body is triploblastic, i.e. all three germ layers are well-developed, and tissues form distinct organs. The digestive chamber has two openings, a mouth and an anus, and there is also an internal body cavity called a coelom or pseudocoelom. There are exceptions to each of these characteristics, however - for instance adult echinoderms are radially symmetric, and certain parasitic worms have extremely simplified body structures.
Genetic studies have considerably changed our understanding of the relationships within the Bilateria. Most appear to belong to two major lineages: the Deuterostomes and Protostomes, which includes the Ecdysozoa, Platyzoa, and Lophotrochozoa. In addition, there are a few small groups of bilaterians with relatively similar structure that appear to have diverged before these major groups. These include the Acoelomorpha, Rhombozoa, and Orthonectida. The Myxozoa, single-celled parasites that were originally considered Protozoa, are now believed to have developed from the Bilateria as well.

Deuterostomes

Deuterostomes differ from the other Bilateria, called protostomes, in several ways. In both cases there is a complete digestive tract. However, in protostomes the initial opening (the archenteron) develops into the mouth, and an anus forms separately. In deuterostomes this is reversed. In most protostomes, cells simply fill in the interior of the gastrula to form the mesoderm, called schizocoelous development, but in deuterostomes it forms through invagination of the endoderm, called enterocoelic pouching. Deuterostomes also have a dorsal, rather than a ventral, nerve chord and their embryos undergo different cleavage.
All this suggests the deuterostomes and protostomes are separate, monophyletic lineages. The main phyla of deuterostomes are the Echinodermata and Chordata. The former are radially symmetric and exclusively marine, such as starfish, sea urchins, and sea cucumbers. The latter are dominated by the vertebrates, animals with backbones. These include fish, amphibians, reptiles, birds, and mammals.
In addition to these, the deuterostomes also include the Hemichordata or acorn worms. Although they are not especially prominent today, the important fossil graptolites may belong to this group.
The Chaetognatha or arrow worms may also be deuterostomes, but more recent studies suggest protostome affinities.

Ecdysozoa

The Ecdysozoa are protostomes, named after the common trait of growth by moulting or ecdysis. The largest animal phylum belongs here, the Arthropoda, including insects, spiders, crabs, and their kin. All these organisms have a body divided into repeating segments, typically with paired appendages. Two smaller phyla, the Onychophora and Tardigrada, are close relatives of the arthropods and share these traits.
The ecdysozoans also include the Nematoda or roundworms, the second largest animal phylum. Roundworms are typically microscopic, and occur in nearly every environment where there is water. A number are important parasites. Smaller phyla related to them are the Nematomorpha or horsehair worms, and the Kinorhyncha, Priapulida, and Loricifera. These groups have a reduced coelom, called a pseudocoelom.
The remaining two groups of protostomes are sometimes grouped together as the Spiralia, since in both embryos develop with spiral cleavage.

Platyzoa

The Platyzoa include the phylum Platyhelminthes, the flatworms. These were originally considered some of the most primitive Bilateria, but it now appears they developed from more complex ancestors.
A number of parasites are included in this group, such as the flukes and tapeworms. Flatworms are acoelomates, lacking a body cavity, as are their closest relatives, the microscopic Gastrotricha.
The other platyzoan phyla are mostly microscopic and pseudocoelomate. The most prominent are the Rotifera or rotifers, which are common in aqueous environments. They also include the Acanthocephala or spiny-headed worms, the Gnathostomulida, Micrognathozoa, and possibly the Cycliophora. These groups share the presence of complex jaws, from which they are called the Gnathifera.

Lophotrochozoa

The Lophotrochozoa include two of the most successful animal phyla, the Mollusca and Annelida. The former includes animals such as snails, clams, and squids, and the latter comprises the segmented worms, such as earthworms and leeches. These two groups have long been considered close relatives because of the common presence of trochophore larvae, but the annelids were considered closer to the arthropods, because they are both segmented. Now this is generally considered convergent evolution, owing to many morphological and genetic differences between the two phyla.
The Lophotrochozoa also include the Nemertea or ribbon worms, the Sipuncula, and several phyla that have a fan of cilia around the mouth, called a lophophore. These were traditionally grouped together as the lophophorates. but it now appears they are paraphyletic, some closer to the Nemertea and some to the Mollusca and Annelida. They include the Brachiopoda or lamp shells, which are prominent in the fossil record, the Entoprocta, the Phoronida, and possibly the Bryozoa or moss animals.

Model organisms

Because of the great diversity found in animals, it is more economical for scientists to study a small number of chosen species so that connections can be drawn from their work and conclusions extrapolated about how animals function in general. Because they are easy to keep and breed, the fruit fly Drosophila melanogaster and the nematode Caenorhabditis elegans have long been the most intensively studied metazoan model organisms, and were among the first lifeforms to be genetically sequenced. This was facilitated by the severely reduced state of their genomes, but the double-edged sword here is that with many genes, introns and linkages lost, these ecdysozoans can teach us little about the origins of animals in general. The extent of this type of evolution within the superphylum will be revealed by the crustacean, annelid, and molluscan genome projects currently in progress. Analysis of the starlet sea anemone genome has emphasised the importance of sponges, placozoans, and choanoflagellates, also being sequenced, in explaining the arrival of 1500 ancestral genes unique to the Eumetazoa.
An analysis of the homoscleromorph sponge Oscarella carmela also suggests that the last common ancestor of sponges and the eumetazoan animals was more complex than previously assumed.
Other model organisms belonging to the animal kingdom include the mouse (Mus musculus) and zebrafish (Danio rerio}.

History of classification

Aristotle divided the living world between animals and plants, and this was followed by Carolus Linnaeus (Carl von Linné), in the first hierarchical classification. Since then biologists have begun emphasizing evolutionary relationships, and so these groups have been restricted somewhat. For instance, microscopic protozoa were originally considered animals because they move, but are now treated separately.
In Linnaeus's original scheme, the animals were one of three kingdoms, divided into the classes of Vermes, Insecta, Pisces, Amphibia, Aves, and Mammalia. Since then the last four have all been subsumed into a single phylum, the Chordata, whereas the various other forms have been separated out. The above lists represent our current understanding of the group, though there is some variation from source to source.

সূত্র :
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ।
প্রথম খণ্ড।
২.
http://en.wikipedia.org/wiki/Animal
৩. https://animals.askdefine.com/