|
প্রাণিজগৎ/প্রাণিরাজ্য
[অভিধান:
প্রাণিজগৎ]
Animal Kingdom,
Animalia
জীবজগতের একটি
অন্যতম শাখা। ল্যাটিন
Animalis
(এ্যানিমালিস)
শব্দের অর্থ হলো- জীবন্ত সত্তা। এই শব্দ থেকে
Animal
শব্দটি গৃহীত হয়েছে। জীববিজ্ঞানে জীবরাজ্যের সকল প্রাণীকে
Animalia
নামে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রধান বৈশিষ্ট্য
এরা
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ
-যুক্ত
জীব। এদের অধিকাংশ প্রজাতি বহুকোষী। এই সূত্রে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস থেকে এদেরকে
প্রাথমিকভাবে পৃথক সত্তায় পরিণত করেছে। বহুকোষী প্রজাতিসমূহের একটি অংশ নিজেদের
খাদ্য শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি করে, অন্যেরা তা পারে না। এই বিচারে প্রাথমিকভাবে
স্বভোজীদেরকে উদ্ভিদ এবং পরভোজীদের মধ্যে প্রাণীদের দলে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু
পরভোজী সকল প্রজাতিই প্রাণী নয়। যেমন ছত্রাক। এক্ষেত্রে অন্যভাবে পরভোজীদের পৃথক
করা হয়ে থাকে। মূলত প্রাণী পরভোজী এবং চলাচল করতে পারে। আবার বেঁচে থাকার জন্য
প্রাণী সর্বার্থে পরভোজী নয়। কারণ দেহের প্রয়োজনে এরা
পানি
এবং বাতাস এরা প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে থাকে।
প্রাণিজগতের অধিকাংশ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র
আছে। এই কারণে এরা দ্রুত কোনো উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এরা যৌন-প্রজনন করে থাকে। তবে
সকল প্রজাতি যৌন-প্রক্রিয়া একই রকমের নয়। এই প্রক্রিয়ায় নিজ দেহ থেকে সন্তানের
জন্মদান করলেও, জন্মদানের প্রক্রিয়া একই রকমের হয় না।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
হৃয়াসিয়ান অধিযুগে (২৩০-২০০.৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
হুরোনিয়ান বরফযুগের
শেষ হয়। ২১০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
আদি জীবকণিকাগুলোর একটি অংশ বিবর্তিত
হয়ে
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ -যুক্ত
জীবে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা এই আদি জীবকুলকে
ইউক্যারিয়েটা
জীবস্বক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন ২৫০-১৬০ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দে
প্যালেপ্রোটারোজোয়িক যুগে
এই জীবকোষভিত্তিক জীবের বিকশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২১০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
দিকে আবির্ভূত
গ্রাইপেনিয়া
(Grypania)
নামক শৈবালের জীবাশ্মে এই জাতীয় কোষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ভূতত্ত্ববিদরা
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৭০ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কিছু পাথরের
গায়ে কিছু তৈলাক্ত পদার্থ পেয়েছিলেন। এই তেলের ভিতর ছিল
স্টেরোয়েড এ্যালকোহল। যেহেতু এই এ্যালেকোহল-যুক্ত
ফ্যাটি এ্যাসিড একমাত্র
নিউক্লিয়াস-যুক্ত
কোষে
পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা যায়— নিউক্লিয়াসযুক্ত
জীবকোষের উদ্ভব এই যুগেই হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে,
নিউক্লিয়াস-যুক্ত
কোষের
সূত্রে একক জীব কণিকার সমন্বয়ে একটি নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল। এই ধরনের জীব-কণিকাগুলোর
কিছু কিছু প্রজাতি পারস্পরিক স্বার্থে একটি সাথে সহাবস্থানে থাকতো। এদের একটি
অক্সিজেন থেকে
কার্বোহাইড্রেড
জাতীয় জৈবিক খাদ্য প্রস্তুত করতে পারতো এবং এই
কার্বোহাইড্রেড অপর জীবকণিকাকে প্রদান করতো। অপর জীবকণিকা এই চিনি গ্রহণ করে, তা থেকে শক্তি উৎপাদন করতো এবং তা উভয় জীবকণিকা ভাগাভাগি করে নিত।
ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগে (১৬০-১৪০
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত
জীবের আবির্ভাব ঘটে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী
প্রজাতি। এই সময়ে আবিরভূত হয়েছিল
Tappania plana নামক
ইউক্যারিয়েটিক স্বক্ষেত্রের প্রজাতি। উল্লেখ্য এই প্রজাতির জীবাশ্মের বয়স ধরা হয়েছ
১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এক্টাসিয়ান অধিযুগে
(১৪০-১২০ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
প্রথম জীবজগতে যৌন-আচরণযুক্ত বংশবিস্তার শুরু হয়েছিল। ফলে পুং ও স্ত্রী যৌনাঙ্গ
বিকশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য আগের অধি যুগগুলোতে জীবের বংশ বিস্তার হতো শুধু কোষ
বিভাজন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় বংশগতিতে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যেতো না। কিন্তু
যৌন-বংশবিস্তারের কারণে দুটি পৃথক জীবের মিশ্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের তৈরি হওয়া
শুরু হয়।
এই সময়ের
সাগরজলে ভাসমান
ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের
জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং
খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে ক্ষণপদ তৈরির ক্ষমতা
সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ক্ষণপদের সংখ্যার উপর
ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি হলো-
গোড়ার দিকে পোডিয়াটাদের
সকল প্রজাতিরই সবই একটি
ফ্লাজেলা
ছিল। পরে এদের কোনো কোনো প্রজাতির ফ্লাজেলা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে বর্তমানে এই
থাকের কোনো কোনো প্রজাতির দেহে ফ্লাজেলা দেখা যায় না।
১৪০ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
একটি ফ্লাজেলা বিশিষ্ট
পোডিয়াটা জীবকুল
থেকে উদ্ভব হয়েছিল
ইউনিকোন্টা
এবং ভারিসুকালা।
প্রায় ১০৩.১-১০০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ইউনিকোন্টা
দুটি ধারায় বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ধারা দুটি হলো- ওবাজোয়া ও এ্যামিবোজোয়া।
ওবাজোয়া থাক:
১০৩.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এদের
উদ্ভব হয়েছিল। যথারীতি
এরা ছিল এককোষী। তবে এদের দেহে ফ্লাজেলা ছিল। ১০০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
ওবোজোয়া থাকের ভিতরে উল্লেখযোগ্য কিছু বির্তন দেখা গিয়েছিল। এই সূত্রে
ওবোজোয়া থাকটি তিনটি ধারায় বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ধারা তিনটি হলো-
ব্রেভিয়াটা
(Breviata): এরা
দেহকে এ্যামিবার মতো পরিবর্তন করতে পারতো। তবে এদের দেহে ফ্লাজেলা ছিল।
এদের উল্লেখযোগ্য প্রজাতি হলো-
B. anathema। আপুসোজোয়া
(Apusozoa): এরা
দেহে ফ্লাজেলা ছিল। এই ফ্লাজেলা দিয়ে এরা চলাচল করতো এবং ব্যাক্টেরিয়া
শিকার করতো।
ওপিস্থোকোন্টা (Opisthokonta):
এই থাক থেকে পরবর্তী সময়ে উদ্ভব হয়েছিল প্রাণীকুল।
হোলোজোয়াকে বলা হয়- প্রাণীজগতের আদিম ধাপ। মূলত ছত্রাক জাতীয় নয় এমন বৈশিষ্ট্য ধরেই হোলোজোয়াকে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃত পক্ষে ছত্রাকের চেয়ে প্রাণীর সাথে এদের মিল ছিল বেশি। ১০০-৭৮.২২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে হোলোজোয়া ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-
মূলত ৯৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে ফিলোজোয়া থাকের জীব দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো-
৯০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
ভিতরে
চোয়ানোজোয়া
থাকের প্রাণিকুল বিভাজিত হয়ে উৎপন্ন হয়েছিল চোয়ানোফ্লাগেল্লাটিয়া শ্রেণির অন্তর্গত
প্রজাতিসমূহ। এরা ছিল এককোষী। জীববৈশিষ্ট্যের বিচারে এরা ছিল প্রাণীর খুব কাছাকাছি।
৮৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে
ক্রায়োজেনিয়ান
বরফযুগের শুরু হয়েছিল।
এই সময় বরফশীতল ঠান্ডা পানিতে জীবজগতের বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে
গিয়েছিল। অভিযোজন প্রক্রিয়া টিকে থাকার সূত্রে অবশিষ্ট
প্রাণীর খুব কাছাকাছি জীবগুলো বহুকোষী প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল।
তবে
চোয়ানোজোয়া
থাক থেকে প্রকৃত প্রাণিজগৎ তথা
এ্যানিমেলিয়া-র
উদ্ভব হয়েছিল ৬৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
৬৩.৫-৫৪.১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ অবধি বিদ্যমান ছিল।
এই সময়ের ভিতরে বহুকোষী প্রাণীজগৎ দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে
গিয়েছিল।
এই ভাগ দুটি হলো-
পরিফেরা
এবং
ইউমেটাজোয়া।
প্রাণী জগতের এই বিভাজনের মধ্য দিয়ে পরিফেরা একটি পৃথক সত্তারূপে
বিকশিত হয়েছিল। কিন্তু এই বিকাশ উন্নতর প্রাণীর পর্যায়ে যেতে পারে নি।
কিন্তু
ইউমেটাজোয়া
থেকে পরবর্তী পর্যায়ের প্রাণীকুলের উদ্ভবের পথ উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
প্যারাহোক্সোজোয়া
থাক: আবির্ভাব কাল ৬০.৫২ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
ট্রাইলোবোজোয়া
পর্ব: আবির্ভাব কাল ৫৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
টিনোফোরা
পর্ব: আবির্ভাব কাল ৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এদের ভিতরে ৫৫.৮-৫৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
ট্রাইলোবোজোয়া
পর্ব থেকে তিনটি গোত্রের প্রাণিকুলের আবির্ভাব হয়েছিল। ৫৫ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই পর্বের সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। অপর দুই
ভাগের ভিতরে টিনোফোরা পর্বের প্রাণীদের
দেহ দ্বি-অরীয় প্রতিসম দশায় পৌঁছেছিল। এদের চলাচলের জন্য দেহের বাইরে আট
সারির চিরুনির মতো অঙ্গ আছে। এদের অধিকাংশ প্রজাতি এই চলনাঙ্গের সাহায্যে
সমুদ্রের জলে মুক্তভাবে ভেসে বেড়ানোর মতো দশায় পৌঁছিল। এই পর্বের কিছু প্রজাতি
আবার সমুদ্রতলে হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করতো। প্রজননের বিচারে এরা ছিল উভলিঙ্গিক।
এই পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত হাইড্রা, জেলিফিস জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে
প্যারাহোক্সোজোয়া
থাক উন্নতর প্রাণির উদ্ভবের পথকে সচল রেখেছিল।
প্লাকোজোয়া:
৫৮-৫৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই পর্বের
প্রজাতিসমূহের আবির্ভাব ঘটেছিল। বহুকোষী হলেও দৈহিক আকারে এরা ছিল বেশ ক্ষুদ্র।
এদের একমাত্র প্রজাতি পাওয়া যায়। এর নাম
Trichoplax adhaerens।
এদের দেহের সুনির্দিষ্ট আকার ছিল না। ফলে এর দৈহিক পরিবর্তন হতো এ্যামিবার মতো।
এদের বিবর্তনের ধারা
Trichoplax adhaerens। মতো
প্রজাতির বিকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিডারিয়া
পর্ব: আবির্ভাবকাল ৫৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই পর্বের প্রাণীর দেহে কিছু কোষ কলাতন্ত্রের
সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে এদের দেহে কলাতন্ত্রের সূত্রে স্নায়ুকলা গঠিত হয়েছিল। তবে
এদের দেহের অধিকাংশ কোষই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাজ করতো।
এদের ভ্রূণ দ্বিস্তর বিশিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই কারণে এদেরকে ডিপ্লোব্লাস্টিক
(Diploblastic) প্রাণী
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদের দেহের বাহিরের স্তরকে এক্টোডার্ম
(Ectoderm) এবং ভেতরের স্তরকে এন্ডোডার্ম
(Endoderm)। উল্লেখ্য, পূর্ণাঙ্গ
নিডেরিয়াদের প্রাণীকুলও দ্বিত্বক বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
এদের
বহিঃদেহত্বকে নিডোব্লাস্ট (Cnidoblast) নামক কোষ
থাকে। এই কোষ থেকে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয় এবং এই বিষ ধারণের জন্য নিমাটোসিস্ট
(Nematocyst) নামক
একটি থলি রয়েছে। শত্রুকে আক্রমণ বা শিকারকে কাবু করার জন্য এরা বিষাক্ত পদার্থ
প্রয়োগ করে। এই বিষ প্রয়োগের জন্য এদের দেহে থ্রেড টিউব
(Thread tube) নামক
চাবুকের মত নল রয়েছে। প্রাণীজগতের ক্রমবিবর্তনের পথে অনেকটা
অগ্রসর হয়েও
প্লাকোজোয়া
এবং
নিডারিয়া
জাতীয় প্রাণীকুল, উন্নতর প্রাণীর সৃষ্টিতে থেমে গিয়েছিল। এই
প্রক্রিয়া সচল হয়ে উঠেছিল
বিলাটেরিয়া থাকের
প্রজাতিগুলোর মধ্য দিয়ে। বিলাটেরিয়া
থাকের আবির্ভাবকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয় ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
প্যারাহোক্সোজোয়া থাকের
অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মাথার গঠন উন্নতর হয়েছিল। বাইরের জগতের সংকেত
পাওয়ার জন্য এদের মাথায় যুক্ত হয়েছিল এ্যান্টেনা। এছাড়া পানিতে চলাচলের জন্য লেজের
উদ্ভব হয়েছিল। এদের শরীরের ডান ও বাম অংশকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া এদের
রয়েছে দ্বিক্ষ বিশিষ্ট পরিপাকতন্ত্র, খাদ্য গ্রহণের জন্য মুখ এবং পরিপাকের পর
বর্জ্য পদার্থ নির্গমের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল পায়ু পথ। এসব দৈহিক কার্যক্রমের সূত্রে
এদের স্নায়ুতন্ত্রও বেশি সুগঠিত হয়ে উঠেছিল। ৫৬ থেকে ৫৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বিলাটেরিয়া থাক থেকে দুটি পর্ব এবং একটি
থাকভুক্ত প্রাণিকুলের উদ্ভব হয়েছিল। এগুলো হলো-
প্রোয়ার্টিকুলাটা
পর্ব, জেনাকোয়েলোমোর্ফা পর্ব এবং
নেফ্রোজোয়া থাক।
এদের ভিতরে জেনাকোয়েলোমোর্ফা পর্বের প্রজাতিসমূহের আবির্ভাব হয়েছিল ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
দিকে। আর এর সকল প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ৫৫.৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে।
নেফ্রোজোয়া থাকের
আবির্ভাবকাল ৫৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। ক্রমবিবর্তনের ধারায় এদের দেহে সিলোম ও
স্নায়ুরজ্জুর আবির্ভাব ঘটেছিল।
ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগের
শুরু দিকে (৫৪.১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), নেফ্রোজোয়া থাকটি দুটি ভাগে
বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগ দুটি হলো-
প্রোটোস্টোমিয়া
থাক ও
ডুটারিস্টোমিয়া ঊর্ধবপর্ব। সূত্র :
৬০.৫২ কোটি থেকে ৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
ইউমেটাজোয়া উপরাজ্য
৩টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ টি হলো-
৬০.৫-৫৬ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
প্যারাহোক্সোজোয়া
থাকের প্রজাতিগুলো ৩টি পর্বে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই পর্বগুলো হলো-প্লাকোজোয়া,
নিডারিয়া ও
বিলাটেরিয়া
এদের দেহের ভেতরে প্রশস্ত গহ্বর থাকে। এই গহ্বরকে বলা হয় সিলেন্টেরন (Coelenteron)।
এদের দেহে একটি
মাত্র মুখছিদ্র সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে এদের পায়ু ছিদ্র বলে কিছু ছিল না।
এরা অরীয় প্রতিসম (Radial symmetry)। অর্থাৎ এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষের মধ্য
দিয়ে অতিক্রান্ত একটিমাত্র তল বরাবর ছেদ করে দুই বা ততোধিক বার দেহটিকে সমভাবে
ভাগ করা যায়।
অধিকাংশই নিডেরিয়া সামুদ্রিক। তবে এর কিছু প্রজাতি স্বাদুপানির বাস করে।
এরা একাকী বা দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের অনেক প্রজাতি নিশ্চল বা সচল অবস্থায় থাকতে
পারে। এদের নিশ্চল দশাকে বলা পলিপ (Polyp)। এদের কোনো প্রজাতি মুক্তভাবে
সাঁতার কাটে। এদের এই দশাকে বলা হয় মেডুসা
(Medusa)।
কোনো কোনো প্রজাতির ভিতরে উভয় দশাই পরিলক্ষিত হয়। এদের
বহিঃকোষীয় ও অন্তঃকোষীয় উভয় প্রকার পরিপাক প্রক্রিয়া এদের দেহে দেখতে পাওয়া
যায়।
বিলাটেরিয়া থাকের
অপর থাক 'প্রোয়ার্টিকুলাটা' আবির্ভাবকাল
ছিল ৫৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এরাই ৫৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে বিলুপ্ত হয়ৈ গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত
প্রাণীর ক্রমবিবর্তনের ধারক ও বাহকের ভূমিকা নিয়েছিল
নেফ্রোজোয়া থাকের
প্রজাতিসমূহ।
Deuterostomes
Deuterostomes
differ from the other Bilateria, called
protostomes, in several ways.
In both cases there is a complete digestive tract. However, in protostomes
the initial opening (the
archenteron) develops into the mouth, and an anus forms separately. In
deuterostomes this is reversed. In most protostomes, cells simply fill in
the interior of the gastrula to form the mesoderm, called schizocoelous
development, but in deuterostomes it forms through
invagination of the
endoderm, called enterocoelic pouching. Deuterostomes also have a dorsal,
rather than a ventral, nerve chord and their embryos undergo different
cleavage.Ecdysozoa
The Ecdysozoa are
protostomes, named after the common trait of growth by moulting or
ecdysis. The largest animal
phylum belongs here, the
Arthropoda,
including insects,
spiders,
crabs, and their kin. All these
organisms have a body divided into repeating segments, typically with paired
appendages. Two smaller phyla, the
Onychophora and
Tardigrada, are
close relatives of the arthropods and share these traits.Platyzoa
The Platyzoa
include the phylum
Platyhelminthes,
the flatworms. These were originally considered some of the most primitive
Bilateria, but it now appears they developed from more complex ancestors.Lophotrochozoa
The
Lophotrochozoa include two of the most successful animal phyla, the
Mollusca and
Annelida. The
former includes animals such as snails,
clams, and
squids, and the latter comprises
the segmented worms, such as
earthworms and leeches. These
two groups have long been considered close relatives because of the common
presence of trochophore
larvae, but the annelids were considered closer to the arthropods, because
they are both segmented. Now this is generally considered
convergent evolution, owing to many morphological and genetic
differences between the two phyla.Model organisms
Because of the great diversity found in animals, it is more economical for
scientists to study a small number of chosen species so that connections can
be drawn from their work and conclusions extrapolated about how animals
function in general. Because they are easy to keep and breed, the fruit fly
Drosophila melanogaster and the nematode
Caenorhabditis elegans have long been the most intensively studied
metazoan model
organisms, and were among the first lifeforms to be genetically
sequenced. This was facilitated by the severely reduced state of their
genomes, but the double-edged
sword here is that with many genes,
introns and
linkages
lost, these ecdysozoans can teach us little about the origins of animals in
general. The extent of this type of evolution within the superphylum will be
revealed by the crustacean, annelid, and molluscan
genome projects
currently in progress. Analysis of the
starlet
sea anemone genome has emphasised the importance of sponges, placozoans,
and choanoflagellates,
also being sequenced, in explaining the arrival of 1500 ancestral genes
unique to the Eumetazoa.History of classification
Aristotle divided
the living world between animals and
plants, and this was followed by
Carolus
Linnaeus (Carl von Linné), in the first hierarchical classification.
Since then biologists have begun emphasizing evolutionary relationships, and
so these groups have been restricted somewhat. For instance, microscopic
protozoa were originally
considered animals because they move, but are now treated separately.
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ।
প্রথম খণ্ড।
২.
http://en.wikipedia.org/wiki/Animal
৩. https://animals.askdefine.com/