।
স্বাদের উপর ভিত্তি করে কার্বোহাইড্রেডকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো-
- মিষ্টি: এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডের সাধারণ নাম
চিনি।
সাধারণ চিনি ছাড়া এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডের ভিতরে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুকরোজ ইত্যাদি
-
মিষ্টিহীন: এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডে স্বাদের বিচারে মিষ্টি নয়। এদের ভিতরে রয়েছে স্টার্চ, সেলুলোজ, গ্লাকোজেন ইত্যাদি।
আণবিক গঠনের বিচারে কার্বোহাইড্রেডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-
-
মোনোস্যাকারাইড: একটি কার্বন শৃঙ্খলের দ্বারা এই কার্বোহাইড্রেড তৈরি হয়। এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করা যায় না।
এ্ই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডে ৩ থেকে ১০টি কার্বন থাকতে পারে। এক্ষেত্রে
কার্বনের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মনোস্যাকারাইডকে ভাগ করা হয়। যেমন-
- ট্রায়োজ: তিনটি কার্বন থাকে। যেমন- গ্লিসার্যাল্ডিহাইড, ডাইঅক্সি
এ্যাসিটটোন ইত্যাদি।
- টেট্রোজ: চারটি কার্বন থাকে। যেমন- ডি এরিথ্রোজ, ডি-থ্রেওজ ইত্যাদি।
-
পেন্টোজ: পাঁচটি কার্বন থাকে। যেমন-
রাইবোজ,
ডিঅক্সিরাইবোজ, রাইবুলোজ ইত্যাদি।
-
হেক্সোজ: ছয়টি কার্বন থাকে। যেমন-
গ্লুকোজ,
ফ্রুক্টোজ, ম্যানোজ,
সুক্রোজ ইত্যাদি।
- হেপ্টোজ: সাতটি কার্বন থাকে। যেমন-সেডোহেপ্টুলোজ, মান্নোহেপ্টোলোজ ইত্যাদি।
- অক্টোজ: আটটি কার্বন থাকে। যেমন- মেথিল্থোইলিনোকোসামাইড
- ওলিস্যাকারাইড: এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে
মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায়। যেমন- সুক্রোজ, মল্টোজ, র্যাফিনোজ ইত্যাদি।
আর্দ্র বিশ্লেষণের ফলে যে সকল কার্বোহাইড্রেড পাওয়া যায়, তার সংখ্যার উপর
ওলিস্যাকারাইডকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো-
- ডাইস্যাকারাইড: আর্দ্র বিশ্লেষণের দ্বারা দুটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া
যায়। যেমন-সুক্রোজ, মল্টোজ।
- ট্রাইস্যাকারাইড: আর্দ্র বিশ্লেষণের দ্বারা তিনটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া
যায়। যেমন-র্যাফিনেজ।
- পলিস্যাকারাইড: দুইয়ের অধিক মনোস্যাকারাইড অণু নিয়ে গঠিত কার্বোহাইড্রেডকে
পলিস্যাকারাইড বলা হয়। এই জাতীয় কার্বোহাইড্রেডের মধ্যে রয়েছে স্টার্চ,
সেলুলোজ, গ্লাইকোজোন ইত্যাদি।