শিল্পক্ষেত্রে স্টার্চ বা শ্বেতসার জাতীয় দ্রব্যকে পাতলা এসিড দিয়ে ভেজালে গ্লুকোজ তৈরি হয়। চাল, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি শ্বেতসার জাতীয় দ্রব্যের সাথে অতিরিক্ত জল মিশিয়ে, পাতলা
H2SO4-এর সঙ্গে উচ্চ চাপে উত্তপ্ত করা হয়। এর ফলে আর্দ্রবিশ্লেষিত হয়ে উক্ত শ্বেতসার গ্লুকোজে পরিণত হয়। এরপর সোডিয়াম কার্বনের দ্বারা অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করা হয়। এই মিশ্রণটি ছেকে নিয়ে সক্রিয় কয়লা দিয়ে বর্ণহীন করার পর, তাপের সাহায্যে গাঢ় করা হয়। এরপর ওই দ্রবণ ঠাণ্ডা করলে দানার আকারে গ্লুকোজ পৃথক হয়ে যায়। এই গ্লুকোজে সামান্য পরিমাণে মল্টোজ ও ডেক্সট্রিন থাকে। একে মিথাইল অ্যালকোহলে আবার দানায়িত করলে প্রায় বিশুদ্ধ গ্লুকোজ পাওয়া যায়।গ্লুকোজের বলয় গঠন
গ্লুকোজের
১ নম্বর কার্বন এবং ৫ নম্বর কার্বন নিকটবর্তী হলে, এদের ভিতরে ১টি অক্সিজেন এসে
একটি বলয় তৈরি করে। এর ফলে ১ নম্বর কার্বনে ১টি -OH
তৈরি হয়। এই -OH
১ নম্বর কার্বন আলফা (α) বা বিটা (β) স্থানে থাকে। এই সূত্রে গ্লুকোজকে α
গ্লুকোজ বা β গ্লুকোজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর ভিতরে α গ্লুকোজ স্টার্চ তৈরি করে
এবং β গ্লুকোজ সেলুলোজ তৈরি করে।
গ্লুকোজের ৫ নম্বর কার্বনে -OH
ডান দিকে থাকলে তখন তাকে
D
গ্লুকোজ বলা হয়। পক্ষান্তরে -OH
বাম দিকে থাকলে
তখন তাকে
L
গ্লুকোজ বলা হয়।