১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে
ভূতত্ত্ববিদরা উত্তর-পশ্চিম
অস্ট্রেলিয়া কিছু পাথরের সন্ধান
এদের সন্ধান পান। এই পাথরগুলো ২৭০ কোটি বৎসর আগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই পাথরের গায়ে কিছু তৈলাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়। এই তেলের ভিতর পাওয়া গেছে স্টেরয়েড এ্যালকোহল। যেহেতু এই এ্যালেকোহল যুক্ত ফ্যাটি এ্যাসিড একমাত্র নিউক্লিয়াস
কোষযুক্ত জীবকোষে পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা যায়—
নিউক্লিয়াস যুক্ত জীবকোষের উদ্ভব এই যুগেই হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে,
নিউক্লিয়াস যুক্ত কোষের আবির্ভাব ঘটেছিল দুটি পৃথক ধরনের একক জীব কণিকার সমন্বয়ে।
এই ধরনের জীব-কণিকাগুলো পারস্পরিক স্বার্থে একটি অপরটি ভিতরে জায়গা করে নিতো। এদের
ভিতরে এক ধরনের জীবকণিকা
অক্সিজেৱ
-সহযোগে চিনি জাতীয় জৈবিক খাদ্য প্রস্তুত করতে পারতো এবং এই চিনি অপর জীবকণিকাকে প্রদান করতো। অপর
ধরনের জীবকণিকাগুলো এই চিনি গ্রহণ করে, তা থেকে শক্তি উৎপাদন করতো এবং পরে এই
শক্তি উভয় জীবকণিকা ভাগাভাগি করে নিত। চিনি উৎপাদনকারী
এই জীবকণিকা বা ব্যাক্টেরিয়াগুলো বংশ বিস্তার করার ক্ষমতা অর্জন করেছিল।
হৃয়াসিয়ান অধিযুগ-এর ২৩০-২২০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
হুরোনিয়ান বরফযুগের
কারণে পৃথিবীতে শৈত-প্রবাহ প্রবল হয়ে উঠেছিল।
আবহাওয়া ছিল শীতল ও শুষ্ক। হুরোনিয়ান বরফযুগের
প্রভাবে এই যুগের এই বরফযুগের প্রভাবে ভূত্বকের উপরিভাগ সঙ্কুচিত হয়ে ফাটলের
সৃষ্টি করেছিল। এই সূত্রে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছিল। প্রথম দিকে
একটি দুটি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলেও পরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশাল বিশাল লাভার স্রোত বরফের স্তরগুলোকে গলিয়ে
ফেলা শুরু করে। একই সাথে আবার বাতাসে
কার্বন-ডাই-অক্সাইড
-সহ নানা ধরনের গ্যাস জমতে থাকে। সব মিলে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত
বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে ২২০ কোটি বৎসর আগে বরফযুগটি শেষ দশায় চলে আসে এবং ২১০
কোটি বৎসর আগে বরফযুগটি শেষ হয়ে যায়। এই সময় সাগরে পানি বেশ উষ্ণ হয়ে উঠে এবং অনুকূল পরিবেশে তৈরি হয়
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ যুক্ত
জীব।
হৃয়াসিয়ান অধিযুগ-এর ২১০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
সৃষ্ট
গ্রাইপেনিয়া
নামক শৈবালের জীবাশ্মে এই জাতীয় কোষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।