রাসায়নিক সঙ্কেত : CO2 আণবিক ভর : ৪৪.০০৯৫ (১৪) গ্রাম/মোল। ঘনত্ব : ১৬০০ কেজি/মি৩, (কঠিন দশায়) ১.৯৫ কেজি/মি৩, (২৯৮ কেলভিনে বায়বীয় দশায়) পানিতে দ্রাব্যতা ১.৪৫ কেজি/মি৩ বাষ্পীভবন ২৫.১৩ কিলোজুল/মোল গলনাঙ্ক -৫৭°সে. (২১৬ কেলভিন স্ফুটনাংক -৭৮°সে. (১৯৫ কেলভিন) অম্লত্ব ৬.৩৫ এবং ১০.৩৩ |
কার্বন ও অক্সিজেনের যৌগ বিশেষ। এই গ্যাস বর্ণহীন, অল্প অম্ল স্বাদযুক্ত এবং সামান্য ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। কার্বন বা এর যৌগকে অক্সিজেনে দহন করলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পাওয়া যায়। য়।
বাতাসের মোট পরিমাণের প্রায় ০৩ ভাগ এই গ্যাস মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই গ্যাস সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে পানিতে সম-আয়তনে দ্রবীভূত হয়। তবে অধিক চাপ প্রয়োগের ফলে পানিতে এর দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়। মুক্ত জলাশয়ের পানিতে এই গ্যাস দ্রবীভূত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরীক্ষাগারে সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের সাথে হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিডের বিক্রিয়ার ফলে এই গ্যাস উৎপন্ন করা হয়।
এই গ্যাস পানিতে অধিক দ্রবীভূত করে অম্লস্বাদযুক্ত সোডা ওয়াটার প্রস্তুত করা হয়। কঠিন কার্বন-ডাই অক্সাইডকে ড্রাই-আইস বা শুষ্ক বরফ বলে। ড্রাই-আইস বাতাসে রাখলে গ্যাসটি গলে তরল না হয়ে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়। আগুন জ্বলতে সহায়তা করে না বা নিজে জ্বলে না বলে, এই গ্যাস আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সবুজ উদ্ভিদ এই গ্যাস ও সূর্যালোকের সাহায্যে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। প্রাণী জগতে এই গ্যাস শ্বাস গ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।