এণ্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
endoplasmic reticulum

এক প্রকার কোষীয় অঙ্গাণু বিশেষ। এই অঙ্গাণু থাকে সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ-এ। এগুলো মূলত নিউক্লিয়ার মেমব্রেন থেকে শুরু করে কোষ আবরণী পর্যন্ত শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট বিস্তৃত থলি বা নালী সদৃশ বস্তু। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে পর্টার 
(porter) যকৃত কোষে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম আবিষ্কার করেছিলেন। সাইটোপ্লাজমীয় ঝিল্লি, নিউক্লীয় ঝিল্লি অথবা কোষঝিল্লি হতে এদের উৎপত্তি হয় বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি জালিকা আবরণী তৈরি করে। কোনো কোনো এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের সাথে রাইবোসোম যুক্ত থাকে। গাঠনিক দিক থেকে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে রাইবোজোম যুক্ত থাকলে, অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Rough endoplasmic reticulum  (RER) বলে। এই জাতীয় রেটিকুলাম প্রোটিন সংশ্লেষে অংশগ্রহণ করতে পারে। রাইবোজোম-বিহীন এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামকে বলা হয় মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Smooth endoplasmic reticulum SER)। এই জাতীয় রেটিকুলাম লিপিড সংশ্লেষে অংশগ্রহণ করতে পারে। এছাড়া প্রাণী কোষে লিপিড সদৃশ স্টেরয়েড হরমোনগুলিকেও এরা সংশ্লেষ করে। এ সকল কাজের সূত্রে এরা স্নেহপদার্থ উৎপাদন করে। গঠনগতভাবে এদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-
 

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম প্রোটোপ্লাজমের কাঠামো হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতি অনুসারে কোষে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা রাখে। সার্বিক বিচারে এরা সাইটোপ্লাজমকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে এবং প্রোটিন, লিপিড সংশ্লেষণে ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য আহিত কণাদের সঞ্চয় ও দরকারমত নিঃসরণ ঘটায়। কিছু রেচনপদার্থের পরিশোধনে এরা সহায়তা করে। লিপিড প্রোটিন এর অন্তঃবাহক হিসেবে কাজ করে। একই সাথে রাইবোজোম গ্লাইঅক্সিসোমের ধারক হিসেবে কাজ করে।