রাইবোজোম
Ribosome

এক প্রকার কোষীয় অঙ্গাণু বিশেষ। কোষের ভিতরে এদেরকে দেখতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মত মনে হয়। কোষের
সাইটোপ্লাজমের ভিতরে বহু এককভাবে, গুচ্ছবদ্ধভাবে রাইবোজোম ভাসমান অবস্থায় থাকে। অনেক সময় এদেরকে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামম গায়ে বা নিউক্লিয় আবরণীর গায়ে লেগে থাকতে পারে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী প্যালাডে রাইবোজোম আবিষ্কার করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী রবার্টস এর নাম দেন রাইবোজোম।

রাইবোজোমের মূল উপাদান নিউক্লেইক এ্যাসিড ও হিস্টোন জাতীয় প্রোটিন । একারণে এদেরকে বলা হয় রাইবো-নিউক্লিয়িক প্রোটিন পারটিকল বা সংক্ষেপে আরএনপি
(RNP) । এদের দেহ দ্বি-স্তরী ঝিল্লী দ্বারা আবৃত। ব্যাস প্রায় ৯০-১৬০ অ্যাংস্ট্রম। এদের আকার গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়ে থাকে। রাইবোজোম মুলত 70S0S 80S এই দুই প্রকার হয়ে থাকে। প্রাক্-প্রাণকেন্দ্রিক কোষ-এ 70S রাইবোসোম পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে সু-প্রাণকেন্দ্রিক  কোষ -এ পাওয়া যায় 80S রাইবোসোম।

প্রতিটি রাইবোসোম অসম দুইটি উপ একক দিয়ে গঠিত। যেমন-
70S রাইবোজোমের একক দুটি হলো- 50SS 30S। অপর 80S রাইবোজোমের দুইটি উপ একক 60S 40S এই দুইটি উপএকক থাকে। উল্লেখ্য রাইবোসোমের একক হিসেবে S ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানী Svedberg -এর নামানুসারে এই মানের নাম- Svedberg unit। রাইবোজোমের প্রধান কাজ হলো-  প্রোটিন সংশ্লেষ করা এবং স্নেহজাতীয় পদার্থের বিপাক সাধন করা।

একাধিক রাইবোজোম একটি সূক্ষ্ম আরএনএ সূত্রের মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তখন তাকে পলিসোম
(Polysome) বা পলিরাইবোজোম (Polyribosome) বলে।