সাইটোপ্লাজম
Cytoplasm
ইংরেজি
Cytoplasm
শব্দটি এসেছে গ্রিক
kytos
(ফাঁপা) এবং
plasm
(রূপ) শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে।
কোষের প্রোটোপ্লাজমের
ভিতর থেকে প্লাজমা মেমব্রেন ও নিউক্লিয়াসকে বাদ দিলে, কোষস্থ যে অস্বচ্ছ, অর্ধ-তরল, দানাদার, জেলির ন্যায় পদার্থকে সাইটোপ্লাজম বলা হয়।
সাইটোপ্লাজমকে ঘিরে রয়েছে একটি আবরণী পর্দা। এই পর্দাকে বলা হয় কোষাবরণী (plasma membrane)।
কোষাবরণী সংলগ্ন সাইটোপ্লাজমের স্বচ্ছ স্তরকে এক্টোপ্লাজম
(Ectoplasm)
। আর
নিউক্লিয়াসের আবরণীর সংলগ্ন সাইটোপ্লাজমের ঘন দানাদার স্তরকে এন্ডোপ্লাজম
(Endoplasm)
।
এ ছাড়া কোষগহ্বর সংলগ্ন সাইটোপ্লাজমের হালকা স্তরকে টেনোপ্লাজম
(Tenoplasm)
বলে।
সাইটোপ্লাজমের প্রধান তিনটি অংশ পাওয়া যায়। অংশ তিনটি হলো-
কোষ মাতৃকা বা ম্যাট্রিক্স, কোষীয় অঙ্গাণু এবং কোষীয় জড়বস্তু (সঞ্চিত খাদ্য এবং ক্ষরিত পদার্থ)।
(matrix):
কোষীয় অঙ্গাণু ছাড়া সাইটোপ্লাজমের অবশিষ্ট অংশই হচ্ছে ধাত্র বা মাতৃকা বা ম্যাট্রিক্স। একে হায়ালোপ্লাজম
(Hyaloplasm)
বলা হয়।
হায়ালোপ্লাজমের ভিতরেই বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণু ভাসমান অবস্থায় থাকে। এছাড়া থাকে নানা ধরণের জৈব ও অজৈব পদার্থ। এসব পদার্থ
ভাসমান অথবা দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সব মিলিয়ে হায়ালোপ্লাজম হয়ে উঠে অস্বচ্ছ এবং জেলির মতো থকথকে অর্ধ-তরল।
কোষমাতৃকা কোষস্থ অঙ্গাণু ও কোষীয় বস্তুসমূহকে ধারণ করা। কোষ বিভাজনের সময় বিভাজিত হয়ে
কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কোষীয় অঙ্গাণু, খাদ্যের গৃহীত অংশ, এনজাইম, হরমোন ইত্যাদিকে
আবর্তন গতির সাহায্যে কোষের একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তর করে।
বিপাক ক্রিয়ার প্রধান স্থল হিসেবে কাজ করা। ভৌত ও রাসায়নিক প্রভাবকের প্রতি সাড়া প্রদান করে।
কোষীয় অঙ্গাণু
(Organelles):
হিসেবে থাকে
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম,
রাইবোজোম,
মাইটোকন্ড্রিয়া,
গোল্গি বস্তু,
লাইসোজোম,
সেন্ট্রোজোম, কোষ-গহ্বর,
পেরোক্সিজোম, গ্লাইঅক্সিজোম এবং অণুনালিকা বা মাইক্রোটিউবিউলস ইত্যাদি।