গাঠনিক দিক থেকে সেন্ট্রোজোমে দুটি অংশ রয়েছে। এই অংশ দুটি হলো- সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোস্ফিয়ার।

• সেন্ট্রিওল:  স্নায়ুকোষ ব্যতীত প্রায় অন্য সকল কোষেই সেন্ট্রিওল দেখা যায়। প্রতিটি সেন্ট্রোজোমে দুটি সেন্ট্রিওল থাকে। আর দুটি সেন্ট্রিওলকে একত্রে ডিপ্লোজোম (Diplosome) বলে। ধারণা করা হয় আদি সেন্ট্রিওল হতে সরাসরি বিভাজনের মাধ্যমে সেন্ট্রিওল উৎপত্তি হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩০০-৫০০ ন্যানোমিটার ।সেন্ট্রিওল দুটি ফাঁপা, বেলুনাকার বা দণ্ডাকার, আবরণ-বিহীন এবং অণুনালিকাযুক্ত হয়ে থাকে।  অণুবীক্ষণ যন্ত্রে সেন্ট্রিওলকে দুমুখ খোলা পিপার মত দেখা যায়।
  
  প্রতিটি সেন্ট্রিওলে তিনটি অংশ রয়েছে। এগুলি হলো-
  • সিলিন্ডার প্রাচীর (Cylinder wall): প্রতিটি সেন্ট্রিওল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।
  • ত্রয়ী অণুনালিকা (Triplets):  নয়টি ত্রয়ী অণুনালিকা থাকে। মূলত তিনটি উপনালিকা মিলে গঠিত হয় একটি ত্রয়ী অণুনালিকা প্রতিটি ত্রয়ী পরস্পর সমদুরত্বে অবস্থিত এবং পরিধির সাথে ৩০ ডিগ্রি কোণ করে অবস্থান করে। উপনালিকাগুলোকে Threadgold A,B,C নামে চিহ্নিত করেছেন ।
  • যোজক (Linkers): নালিকাগুলো পার্শবর্তী নালিকার সাথে যোজক তন্তু দ্বারা যুক্ত থাকে।  

সেন্ট্রিওল প্রোটিন, লিপিড ও এটিপি নিয়ে গঠিত। উল্লেখ্য সেন্ট্রিওল স্নায়ুকোষে নিষ্ক্রিয় থাকে। কোষ বিভাজনের সময় স্পিন্ডল (Spindle) গঠন করে। অনেক কোষে সিলিয়া ও ফ্লাজেলা তৈরি করে, শুক্রাণুর লেজ তৈরি করে।

• সেন্ট্রোস্ফিয়ার (Centrosphere): সেন্ট্রিওলের চারপাশের গাঢ় তরলকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার বলা হয়। মূলত এই সেন্ট্রোস্ফিয়া সেন্ট্রিওল ভাসমান অবস্থায় থাকে। সেন্ট্রোস্ফিয়ার হতে কোষ বিভাজনের সময় এস্টার রে বিচ্ছুরণ হয়।   [দেখুন" মাইটোসিস কোষ বিভাজন]