ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগ
(
Calymmian period)
১৬০-১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

মেসোপ্রোটারোজোয়িক যুগ-এর প্রথম অধিযুগ যুগ।

গ্রিক calymma শব্দের অর্থ হলো আবরণ। এই অধিযুগে নানা ধরনের অধঃক্ষেপ এবং আগ্নেয় উপাদান দ্বারা পৃথিবীর ভূত্বক আবৃত হয়ে গিয়েছিল বলে, এই যুগের নামকরণ করা হয়েছিল (Calymmian period) আবরিত অধিযুগ। 

এই অধিযুগে প্রচুর অধঃক্ষেপের দ্বারা ভূত্বকের পুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বৃষ্টিরপাতের ফলে ভূভাগের উপরের পতিত অধঃক্ষেপের একটি বড় অংশ সাগরতলে জমা হয়েছিল। ফলে সাগরতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রাচীন মহাদেশীয় পাতগুলোর সম্প্রসারণ ঘটেছিল। এছাড়া মহাদেশীয় পাতের ভূভাগের প্রান্তীয় অঞ্চলে অগভীর জলমগ্ন ভূমির সৃষ্টি হয়েছিল। এসূত্রে বহু সমুদ্রসৈকতের সৃষ্টি হয়েছিল এই সময়ে। মহাদেশীয় বিভাজন এবং সংযোজনের ফলে বহু দ্বীপ তৈরি হয়েছিল আগের অধিযুগগুলোতে। এসব দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জের একটি বড় অংশ পতিত অধঃক্ষেপের দ্বারা ভরাট হয়ে, মূলভূখণ্ডের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। ফলে মহাদেশীয় ভূভাগের বিস্তার ঘটেছিল। এই সব প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে কলাম্বিয়া মহামহাদেশের আয়তন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রূপ পেয়েছিল।
 

জীবজগতের ক্রমবিবর্তনের ধারা
এই যুগের শুরুর দিকে এককোষী জীবকণিকার বিকাশ ঘটেছিল সাগর জলে। একই সাথে নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত জীবের আবির্ভাব ঘটেছিল এই সময়ে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী প্রজাতি। এই সময়ে সাগরজলে ভাসমান ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে ক্ষণপদ তৈরির ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ক্ষণপদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি  হলো-

এই সময়ে আবিরভূত হয়েছিল  Tappania plana নামক ইউক্যারিয়েটিক স্বক্ষেত্রের প্রজাতি। উল্লেখ্য এই প্রজাতির জীবাশ্মের বয়স ধরা হয়েছ ১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

এই অবস্থার ভিতর দিয়ে  ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগের সমাপ্তি হয় ১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। এরপর শুরু হয় এক্টাসিয়ান অধিযুগ। এই অধিযুগের সময়সীমা ছিল ১৪০ কোটি থেকে ১২০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।


সূত্র :