মেসোপ্রোটারোজোয়িক 
ইংরেজি : Mesoproterozoic
প্রোটেরোজোইক কাল-এর দ্বিতীয় যুগ। ব্যাপ্তীকাল ১৬০ থেকে ১০০ কোটি পূর্বাব্দ। এই যুগকে তিনটি অধিযুগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো

১. ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগ (১৬০ কোটি থেকে ১৪০ কোটি পূর্বাব্দ)
২.
এক্টাসিয়ান অধিযুগ (১৪০ কোটি থেকে ১২০ কোটি পূর্বাব্দ)
৩.
স্টেনিয়ান অধিযুগ (১২০ কোটি থেকে ১০০ কোটি বৎসর আগে।)

১৬০ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে কলাম্বিয়া মহা-মহাদেশ প্রায় অক্ষত ছিল। খন এই মহাদেশটি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ছিল ১২,৯০০ কিলোমিটার (৮০০০ মাইল) এবং পাশাপাশি ছিল ৪৮০০ কিলোমিটার (৩০০০ মিটার)। এই সময় ভারতে পূর্ব-উপকূল উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যুক্ত ছিল। অন্যদিকেস্ট্রেলিয়ার সাথে কানাডা যুক্ত ছিল। দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ অঞ্চল ব্রাজিলকে ঘিরে আবর্তিত অবস্থায় ছিল।

১৫০ কোটি বৎসর আগে এই মহামহাদেশ বিভাজিত হওয়া শুরু করে। এই বিভাজনের সূত্রে
 ১১ কোটি বৎসর আগে নতুন রোডিনা মহা-মহাদেশ সৃষ্টি হয়। এই যুগের শেষে রোডিনা মহা-মহাদেশ একটি স্থিতিশীল দশায় পৌঁছেছিল।

এই
অধিযুগে নানা ধরনের অধঃক্ষেপ এবং আগ্নেয় উপাদান দ্বারা পৃথিবীর ভূত্বক আবৃত হওয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সূত্রে নানা ধরনের শিলা তৈরি হয়েছিল এই সময়। এছাড়া এই অধিযুগের শেষে  polymetamorphic ভূস্তর তৈরি হয়েছিল।

এই অধিযুগের ১৪০ কোটি থেকে ১২০ কোটি বৎসরের ভিতরে, প্রথম জীবজগতে যৌন-আচরণযুক্ত বংশবিস্তার শুরু হয়েছিল। ফলে পুং ও স্ত্রী যৌনাঙ্গ বিকশিত হয়েছিল। আগের যুগগুলোতে জীবের বংশ বিস্তার হতো শুধু কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় বংশগতিতে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যেতো না। কিন্তু যৌন-বংশবিস্তারের কারণে দুটি পৃথক জীবের মিশ্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের তৈরি হওয়া শুরু হয়।

এসকল প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে, পৃথিবীর ভূত্বকে লাভা, পাথর, ব্যাক্টেরিয়ার আস্তরণ ইত্যাদি মিলিয়ে একটি বিশৃঙ্খল জৈব-স্তর তৈরি হয়েছিল। কিছু বৃহৎ মহাদেশের অস্তিত্বের কথা বিবেচনা করা হয়ে থাকে।  সুমেরু অঞ্চলের ক্রেটন, বাল্টিকা এবং পূর্ব এ্যান্টার্কটিকা মিলে তৈরি হয়েছিল নেনা (Nena) নামের এই মহা-মহাদেশ।

এই যুগকে তিনটি অধিযুগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো

১. ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগ (১৬০ কোটি থেকে ১৪০ কোটি পূর্বাব্দ)
২.
এক্টাসিয়ান অধিযুগ (১৪০ কোটি থেকে ১২০ কোটি পূর্বাব্দ)
৩.
স্টেনিয়ান অধিযুগ (১২০ কোটি থেকে ১০০ কোটি বৎসর আগে।)


সূত্র :
http://essayweb.net/geology/timeline/mesoproterozoic.shtml
http://en.wikipedia.org/wiki/Mesoproterozoic