|
হোলোজোয়া ব্রেভিয়াটা
(Breviata): এরা দেহকে
এ্যামিবার মতো পরিবর্তন করতে পারতো। তবে এদের দেহে ফ্লাজেলা ছিল। এদের
উল্লেখযোগ্য প্রজাতি হলো- B.
anathema। আপুসোজোয়া
(Apusozoa): এরা দেহে
ফ্লাজেলা ছিল। এই ফ্লাজেলা দিয়ে এরা চলাচল করতো এবং ব্যাক্টেরিয়া শিকার করতো।
হোলোজোয়াকে বলা হয়- প্রাণীজগতের আদিম ধাপ। মূলত ছত্রাক জাতীয় নয় এমন বৈশিষ্ট্য
ধরেই হোলোজোয়াকে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃত পক্ষে ছত্রাকের চেয়ে প্রাণীর সাথে এদের মিল
ছিল বেশি। ১০০-৭৮.২২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে হোলোজোয়া ৩টি ভাগে বিভাজিত
হয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-
Holozoa
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ ভিত্তিক
জীবজগতের
ইউক্যারিয়েটা
স্বক্ষেত্রের
(Domain)
একটি থাক। ২০০৮
খ্রিষ্টাব্দের
বিজ্ঞানী ল্যাঙ প্রমুখ এই থাকের নামকরণ করেন। এই থাক থেকে উৎপন্ন হয়েছিল প্রাণীকুল।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
প্রায় ১০৩.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে আবির্বভুত
ওবাজোয়া
থাকটির উদ্ভব হয়েছিল। যথারীতি এরা ছিল এককোষী। তবে এদের দেহে ফ্লাজেলা ছিল।
১০০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ওবোজোয়া থাকের ভিতরে উল্লেখযোগ্য কিছু বিবর্তন
দেখা গিয়েছিল। এই সূত্রে ওবোজোয়া থাকটি তিনটি ধারায় বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই
ধারা তিনটি হলো-
(Holomycota):
এই থাক থেকে
পরবর্তী সময়ে উদ্ভব হয়েছিল ছত্রাক এবং ছত্রাকের মতো জীব।
(Mesomycetozoea):
এরা মূলত পরজীবী। বর্তমানে সাধারণত মাছ বা অন্যান্য প্রাণীর দেহে এদেরচ পাওয়া
যায়।
সূত্র:
http://taylorlab.berkeley.edu/sites/default/files/taylorlab/publications/medina2003.pdf