১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Eschscholtz। এই পর্বের প্রাণিকুল সামুদ্রিক। এই পর্বের প্রাণিগুলোকে সাধারণভাবে কোম্বজেলি (comb jellies) নামে সুপরিচিত। এদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে চীনের ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগ-এর Chengjiang ভূস্তরে। ধারণা করা এই পর্বের প্রাণীকূলের বিকাশ ঘটেছিল ৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে।

এদের দেহ দ্বি-অরীয় প্রতিসম। এদের চলাচলের জন্য দেহের বাইরে আট সারির চিরুনির মতো অঙ্গ আছে। এদের অধিকাংশ প্রজাতি এই চলনাঙ্গের সাহায্যে সমুদ্রের জলে মুক্তভাবে ভেসে বেড়ায়। কিছু প্রজাতি আছে, যারা সমুদ্রতলে হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করে। প্রজাতিভেদে এদের দেহ বর্ণহীন বা সামান্য রঙিন হয়। এরা উভলিঙ্গিক প্রাণী।

টেন্টাকুলাটা শ্রেণির কোম্বজেলি

এই পর্বের প্রাণীদের দেহ জেলির মতো কিন্তু বেশ ক্ষণভঙ্গুর। প্রজাতিভেদে এদের দেহ উপবৃত্তাকার, বৃত্তাকার বা ঘন্টা আকারের দেখা যায় এবং আকারে ৩ মিলিমিটার থেকে ৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।

এরা এককভাবে বিচরণের সময় স্বনিষেক হয়। কিন্তু ঝাঁক বেধে চলার সময় সমুদ্রের জলের সাহায্যে পরনিষেক ঘটে। নিষেকের পরে এরা লার্ভা ত্যাগ করে।

এদের প্রধান খাদ্য জুপ্ল্যাংকটন। কর্ষিকার সাহায্যে শিকার ধরে আহার করে। এরা ক্ষতিগ্রস্থ দেহাংশ পুনরুদ্ধার করতে পারে।

ক্রমবিবর্তনের ধারা
টোনিয়ান অধিযুগের (১০০-৭২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ৮৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ক্রাইয়োজেনিয়ান অধিযুগে  শুরু হয়েছিল। এরই ভিতরে চোয়ানোজোয়া থাকের প্রাণিকুল বিভাজিত হয়ে উৎপন্ন হয়েছিল চোয়ানোফ্লাগেল্লাটিয়া শ্রেণির অন্তর্গত প্রজাতিসমূহ এবং ৬৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে জীবরাজ্যে আবির্ভূত হয় এ্যানিমেলিয়া।

সূত্র :
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। প্রথম খণ্ড।
২. http://en.wikipedia.org/wiki/Eumetazoa
৩. http://www.earthlife.net/inverts/ctenophora.html