বিলাটেরিয়া
Bilateria

প্রাণিজগতের একটি ইউমেটাজোয়া  উপরাজ্যের একটি থাক। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে এই থাকের নামকরণ করেছিলেন অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী বার্থোল্ড হ্যাট্‌সচেক (Berthold Hatschek)

প্যারাহোক্সোজোয়া থাকের অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মাথার গঠন উন্নতর। বাইরের জগতের সংকেত পাওয়ার জন্য এদের মাথায় যুক্ত হয়েছে এ্যান্টেনা। এই সূত্রে এদের স্নায়ুতন্ত্রও বেশি সুগঠিত। এছাড়া পানিতে চলাচলের জন্য রয়েছে লেজ। এদের শরীরের ডান ও বাম অংশকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া দের রয়েছে দ্বিক্ষ বিশিষ্ট পরিপাকতন্ত্র, খাদ্য গ্রহণের জন্য মুখ এবং পরিপাকের পর বর্জ্য পদার্থ নির্গমের জন্য রয়েছে পায়ু পথ।

এদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ার এডিয়াকারা পর্বতে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী মারি ওয়াদে এই নমুনার গণের নাম দিয়েছেন কিম্বেরেল্লা। এর উল্লেখযোগ্য দুটি প্রজাতি হলো -

ক্রমবিবর্তনের ধারা
টোনিয়ান অধিযুগের (১০০-৭২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
৮৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ক্রাইয়োজেনিয়ান অধিযুগে  শুরু হয়েছিল। এরই ভিতরে চোয়ানোজোয়া থাকের প্রাণিকুল বিভাজিত হয়ে উৎপন্ন হয়েছিল চোয়ানোফ্লাগেল্লাটিয়া শ্রেণির অন্তর্গত প্রজাতিসমূহ এবং ৬৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে জীবরাজ্যে আবির্ভূত হয় এ্যানিমেলিয়া

ক্রাইয়োজেনিয়ান অধিযুগটি স্থায়ী হয়েছিল ৬৩ কোটি ৫০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এবং এডিয়াকারান অধিযুগ (৬৩.৫-৫৪.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) অবধি বিদ্যমান ছিল। সেই তুষারাবৃত শীতল পৃথিবীর সমুদ্রে জীবজগতে পরিবর্তনের নতুন ধারার সূচনা হয়। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এক কোষী জীবজগতে বহুকোষী জীবের আবির্ভাব ঘটেছিল। এদের ভিতরে একটি শ্রেণি বহুকোষের সমন্বয়ে আবির্ভূত হলেও এদের দেহে কলাতন্ত্রের বিকাশ ঘটেনি। এই সূত্রে সৃষ্টি হয়েছিল দুটি উপরাজ্যের প্রাণিকুল। এই উপরাজ্য দুটি হলো- পরিফেরা এবং ইউমেটাজোয়া


সূত্র :
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ।
প্রথম খণ্ড।
২.
http://en.wikipedia.org/wiki/Eumetazoa