কর্ডাটা
Chordata
 

প্রাণিবিদ্যায় বর্ণিত Animalia জীবরাজ্য (Kingdom)-এর একটি পর্ব (phylum) বিশেষ। এই পর্বের ভিতরে রয়েছে মৎস, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী শ্রেণির প্রাণিকূল। এই পর্বের অন্তর্গত প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪৩,৭০০ হাজার। প্রায় ৫৪.২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগে কর্ডাটা পর্বের প্রাণীসমূহের আবির্ভাব ঘটেছিল। ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম ব্যাটসন (William Bateson (August 8, 1861 – February 8, 1926)) এই নামকরণ করেন।

 

প্রাণীজগতের যে সকল প্রাণীর পৃষ্ঠ মধ্যরেখা বরাবর দণ্ডাকৃতির স্থিতিস্থাপক অস্থি বা নটোকর্ড (Notochord) থাকে, তাদেরকে কর্ডাটা বলা হয়। গ্রিক Chorda অর্থ রজ্জু। এই নটোকর্ড-এর ভিতর দিয়ে স্নায়ু রজ্জু বিদ্যমান থাকে বলে- এর রূপ নামকরণ করা হয়েছে।

যে সকল প্রাণীদেহের দেহকাঠামোতে নটোকর্ড বা মেরুদণ্ড আছে, এমন কর্ডাটা পর্বের যে কোন প্রাণির সাধারণ নাম মেরুদণ্ডী। ন্যভাবে বলা হয়, যে সব জীবের দেহে, তাদের পরিস্ফুটন দশার যে কোনো একটি সময়ে নটোকর্ড থাকে তাদেরকে কর্ডেট বলে। এই পর্বের প্রাণীগুলোর জীবনের যে কোন দশায় বা সারাজীবন গলবিলের উভয় পাশে কয়েক জোড়া ফুলকা ছিদ্র থাকে। এদের জলজ প্রজাতিগুলো এই ফুলকার সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে। পক্ষান্তরে স্থলজ প্রজাতিগুলো ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে থাকে।

 

এই পর্বের প্রাণীদের দেহজকাণ্ড দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। দেহ তিনটি ভ্রূণীয় কোষস্তর (এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম) থাকে। এদের পরিপাকতন্ত্র মুখবিবর থেকে পায়ু পর্যন্ত নালীর মতো বিস্তৃত থাকে। এদের দেহে দেহগহ্বর (true coelom) থাকে।

ক্রমবিবর্তনের ধারা
৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কিছু পূর্বে ডুটারিস্টোমিয়া ঊর্ধবপর্বের প্রজাতিসমূহের আবির্ভাব হয়েছিল। ৫৪ থেকে ৫৩.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ডুটারিস্টোমিয়া ঊর্ধবপর্ব ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ ৩টি হলো-এ্যাম্বুলাক্রারিয়া থাক, স্যাক্কোহাইডিটা এবং কর্ডাটা পর্ব।

৫৩.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে উদ্ভব হয় কর্ডাটা পর্ব এবং ৫৩.১-৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পর্বটি ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এগুলো হলো-


বহির্সূত্র :