|
প্রাণিজগতের একটি আদিম মেরুদণ্ডী প্রাণীর অন্তর্গত একটি থাকের নাম। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে জর্মান বিজ্ঞানী হ্যাকেল
(Ernst
Heinrich Philipp August Haeckel) এই থাকের নামকরণ করেছিলেন।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
৩৫ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে রেপ্টিলিওমোর্ফা
থাকের প্রজাতিসমূহের
কিছু কিছু প্রজাতি এ্যাম্নিয়োট ডিম প্রসব করা শুরু
করে। এর ফলে এ্যাম্নিয়োট ডিম প্রসবকারী প্রাণীকুল বিকাশ শুরু হয়।
উল্লেখ্য,
সাধারণত
ডিমের কুসুমে থাকে ভ্রূণের খাবার। এই কুসুম এবং ভ্রূণকে ঘিরে থাকে এক ধরনের তরল
পদার্থ। একে বলা হয় এ্যাম্নিয়োন (amnion)। যে সকল প্রাণীর ডিম এ্যাম্নিওন-যুক্ত হয়,
সে সকল ডিমকে বলা হয়
এ্যাম্নিয়োটা (Amniota)।
আবার এই কারণেই এই সকল প্রাণীকেও এ্যামনিয়োটা বলা হয়। এই
সকল প্রাণীর ডিমের বাইরে থাকে সাধারণত একটি শক্ত খোলস। এই জাতীয় ডিমে অন্তর্নিষেক
হওয়ার পর, স্ত্রী-প্রাণী উপযুক্ত স্থানে
ডিম প্রসব করে। কোনো কোনো প্রাণী ডিম্বনালীতে ডিম ধারণ করে রাখে এবং সেখান থেকে
ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে আসে। এই সকল ডিমের বাইরে শক্ত খোলস থাকে। এর কুসুম
ভ্রূণের জন্য খাদ্যভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে। পক্ষান্তরে এ্যামিওন তরল পদার্থে পূর্ণ
থাকে এবং ভ্রূণকে রক্ষা করে।
৩৪ কোটি ৩১.৮ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
এ্যাম্নিয়োটা
থাক বিভাজিত হয়ে যায়।
M.S. Lee, in 2013.
-এর শ্রেণিবিভাজন অনুসারে এই বিভাজিত থাক দুটি হলো-
সূত্র
:
ডাইনোপেডিয়া। কামরুল হায়দার। বলাকা বুকস ইন্টারন্যাশনাল। শ্রাবণ ১৪১২, জুলাই
২০০৫।