নরনারায়ণ
ক্ষীরোদপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রচিত নাটক।

মহাভারতের কর্ণ চরিত্রের প্রতি ক্ষিরোদকুমারের বিশেষ দুর্বলতা ছিল। ১২৯২-৯৩ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি 'দ্রোণ' ও 'কৃপ' চরিত্রভিত্তিক নাটক লেখা শুরু করেন। কিন্তু 'কর্ণ' চরিত্র তাঁকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করলে, তিনি 'কর্ণ' লেখা শুরু করেন। ইতোমধ্যে  আর্ট থিয়েটারে অপরেশ মুখোপাধ্যায়-এর রচিত 'কর্ণার্জুন' অভিনয়-এর সংবাদ পেয়ে, তিনি 'কর্ণ' লেখা থেকে বিরত হন।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মহেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী'র অনুরোধে তিনি পুনরায় 'কর্ণ' রচনায় হাত দেন। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই নাটকটি  শেষ করেন। এই নাটকটি শিশিরকুমার ভাদুরী পাঠ করে- তা মঞ্চস্থ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তিনি মনোমোহন থিয়েটার বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় শিশিরকুমার ভাদুরী মাসিক তিন হাজার টাকায় মনোমোহন থিয়েটার ভাড়া নিয়ে 'নাট্যমন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন।  শেষ পর্যান্ত এই নাটকটি- ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর,  'নাট্যমন্দির'  মঞ্চে প্রথম অভিনীত হয়। এই সময় নাটকের নামকরণ করা হয়- 'নরনারায়ণ'।

ভবানী গোপাল সান্যাল-এর সম্পাদনায় নাটকটি প্রথম পুস্তকারে প্রকাশিত হয়- ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে। প্রকাশ ছিল- 'মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড।

এই গ্রন্থের শুরুর দিকে 'নাট্যমন্দির' অভিনীত নাটকের কুশীলবদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। [নমুনা]