ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতুগুলোর
ভিতরে বেরিলিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ব্যতীত অন্যান্য ধাতু এবং তাদের উদ্বায়ী লবণ বিভিন্ন বর্ণের শিখা প্রদর্শন করে থাকে।
এক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের শিখা ইষ্টক-লাল,
স্ট্রনশিয়াম
টকটকে লাল, বারিয়াম সবুজ ও রেডিয়াম টকটকে লাল রঙ প্রদান করে থাকে।
ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু এবং তাদের উদ্বায়ী ক্লোরাইড লবণকে বুনসেন বার্নারের শিখায় উত্তপ্ত করলে যোজ্যতা কক্ষের ইলেকট্রন দুটি শক্তি
শোষণ করে উত্তেজিত হয় এবং উচ্চতর শক্তিস্তরে উন্নীত হয়। তবে ইলেকট্রনগুলো অন্যস্তরে
খুব বেশী সময় থাকতে পারে না। ইলেক্ট্রনগুলোর নিজ কক্ষে ফিরে আসার সময় শোষিত
শক্তি বিকিরিত হয়।
এই বিকিরিত ফোটনের শক্তি দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমার মধ্যে পড়ে বলে খালি চোখে
দেখা যায়।
বেরিলিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরমাণুর আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় তাদের যোজ্যতা
স্তরের ইলেকট্রন দুটি নিউক্লিয়াস দ্বারা
তীব্রভাবে আকর্ষিত হয়। এ দুটি মৌলের আয়নিকরণ বিভবের মানও খুব উচ্চ। পরমাণু দুটির যোজ ̈তা ̄Íরের ২
ও ৩ নম্বর কক্ষপথে
ইলেকট্রন দুটিকে উত্তেজিত করে উচ্চশক্তিস্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন পড়ে। বুনসেন বার্নারের শিখা থেকে
এ ধরনের শক্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলে, সাধারণ পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষণ সম্ভব হয়
না।