[দেখুন: ধাতু
অভিধান]সাধারণ অর্থে যে সকল
মৌলিক পদার্থের
ধাতবগুণ আছে। কিন্তু রসায়ন বিজ্ঞানে ধাতু বলতে সে সব মৌলিক পদার্থ বোঝায়, যেগুলো খুব দ্রুত
আয়ন সৃষ্টি করে এবং যেগুলোতে ধাতব বন্ধন রয়েছে।
কিন্তু মৌলিক ধাতু ছাড়াও মিশ্র ধাতুকেও ধাতব পদার্থ হিসেবে
বিবেচনা করা হয়। সাধারণভাবে কিছু ভৌতগুণের বিচারে ধাতুকে বিবেচনা করা হয়। যেমন-
- ধাতু কঠিন পদার্থ। ব্যতিক্রম হলো পারদ, যা তরলাবস্থায়
থাকে। এই কারণে অন্যান্য ধাতুর ভৌত ধর্মের সাথে পারদের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
- ধাতু কঠিন বলেই এর সাহায্যে অন্য পদার্থে আঁচর কাটা যায়,
আবার ধাতুর গায়েও আঁচর কাটা যায়।
- পিটিয়ে পাতলা পাত বা সরু তারে পরিণত করা যায়।
- ধাতুকে কাটা যায়, ভেঙে ফেলা যায়। ব্যবহারিক সুবিধার্থে
পালিশ করা যায়।
- ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
- একাধিক ধাতুর সংমিশ্রণে সংকর ধাতু তৈরি করা যায়।
ধাতুর তালিকা
ভৌতগুণ, রাসায়নিক, ব্যবহারিকগুণের বিচারে
ধাতুকে নানাভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-
- ক্ষারীয় ধাতু:
এই শ্রেণির ধাতুর ভিতরে পাওয়া যায় ধাতব-ধর্ম ও ও ক্ষার-ধর্ম। যেমন- এই শ্রেণির মৌলসমূহের অক্সাইড
বা হাইড্রোঅক্সাইড, এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
এই কারণে এগুলোর প্রত্যেকটি এক একটি ক্ষার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার
এই শ্রেণির মৌলগুলোর মধ্যে ধাতব ধর্ম পাওয়া যায়। তাই এই শ্রেণির মৌলগুলোকে
প্রত্যেকটিকে ক্ষারীয় ধাতু বলা হয়। এই শ্রেণির মৌলগুলো হলো-
লিথিয়াম।
-
ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু:
ধাতুর
একটি বিশেষ ধরনের প্রকরণ। এই ধাতুগুলো প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায়
পায় যায় না। বিভিন্ন যৌগ হিসেবে এসব ধাতু থাকে। বিশেষ করে সিলিকেট, কার্বনেট, সালফেট ও ফসফেট হিসাবে
এদের পাওয়া যায়। এই শ্রেণির ধাতুগুলো হলো-
বেরিলিয়াম।
- মিশ্র ধাতু বা সংকর ধাতু: একাধিক মৌলিক ধাতুর মিশ্রণে
যে সকল ধাতু তৈরি হয়ে থাকে। যেমন- ইস্পাত, সোলডার, পিতল, ডুরালুমিন, পিউটার, ব্রোঞ্জ,
পারদ-সংকর ইত্যাদি।
- বিরল ধাতু