রেনিয়াম
বানান বিশ্লেষণ: র্ +এ+ন্+ই+আ+ ম্+অ
উচ্চারণ:
re.ni.am (রে.নি.আম্)
শব্দ-উৎস: লাতিন
Rhine (রাইন নদীর নাম) Rhenus> ইংরেজি Rhenium> বাংলা রেনিয়াম
পদ: বিশেষ্য  

প্রতীক Re
পারমাণবিক ওজন ১৮৬.২
পারমণবিক সংখ্যা ৭৫
ইলেক্ট্রোন সংখ্যা ৭৫
প্রোটোন ৭৫
ইলেক্টোন কক্ষ: ২ ৮ ১৮ ৩২ ১৩ ২
ইলেক্ট্রোন শক্তিবিন্যাস :
4f14 5d46s2
গলনাঙ্ক :  ৩১৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : ৫৫৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আপেক্ষিক গুরুত্ব: ২১ গ্রাম/ঘন সেমি

একটি রুপালী ধূসর বর্ণের ধাতব অবস্থান্তর ধাতু এবং মৌলিক পদার্থ
১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ান রসায়নবিদ দ্রিমিত্রি মেন্ডেলিভ পর্যায় সারণী তৈরি করেন। এই সারণীতে তিনি দুটি শূন্য ঘরে কোনো মৌলিক পদার্থের নাম যুক্ত করতে ব্যর্থ। এই সূত্রে তিনি অনুমান করেন যে, এই শূন্য ঘর দুটি পূরণের জন্য কোনো মৌলিক পদার্থ এখনো অনাবিষ্কৃত রয়েছে। পরে এই দুটি শূন্য ঘরের জন্য দুটি নাম রাখেন। নাম দুটি হলো এক-ম্যাঙ্গানিজ, দ্বি-ম্যাঙ্গানিজ। উল্লেখ্য এই নামটি  মেন্ডেলিভ এক এবং দ্বি শব্দ দুটি তিনি নিয়েছিল সংস্কৃত থেকে। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় রেনিয়াম সম্পর্কে অনুমান করেন ইংরেজ পদার্থ বিজ্ঞানী হেনরি মোসেলে।

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানির বার্লিনে ওয়াল্টার নোড্ডাক, আইডা তাকে এবং অট্টো বার্গ
টেকনেশিয়াম আবিষ্কার করেনখ এই পদার্থটি ছিল মেন্ডেলিভের অনুমানকৃত এক-ম্যাঙ্গানিজ। এই সময় তাঁরা রেনিয়াম আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।