ইরিডিয়াম
বানান বিশ্লেষণ: ই+র্+ই+ড্+ই+আ+ ম্+অ
উচ্চারণ:
ir.i.ɖi.am (ই.রি.ডি.আম্)
শব্দ-উৎস: গ্রিক
ἶρις (îris রংধনু)> লাতিন Irid +ium=Iridium > ইংরেজি Iridium> বাংলা ইরিডিয়াম
পদ: বিশেষ্য  

প্রতীক Ir
পারমাণবিক ওজন ১৯২.২
পারমণবিক সংখ্যা ৭৭
ইলেক্ট্রোন সংখ্যা ৭৭
প্রোটোন ৭৭
ইলেক্টোন কক্ষ: ২ ৮ ১৮ ৩২ ১৬ ২
ইলেক্ট্রোন শক্তিবিন্যাস :
4f14 5d76s2
গলনাঙ্ক :  ২৪৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : ৪৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আপেক্ষিক গুরুত্ব: ২২.৫৬ গ্রাম/ঘন সেমি

একটি রুপালী বর্ণের ধাতব অবস্থান্তর ধাতু এবং মৌলিক পদার্থ। ১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ রসায়নবিদ স্মিথসন টেন্ন্যান্ট আবিষ্কার করেন।  রাসায়নিক ধর্মের দিক থেকে একে নিষ্ক্রিয় ধাতু বলা হয়। রাজাম্ল
(aqua regia)। একে ক্ষয় করতে পারে না। তবে ১২৫-১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড এবং সোডিয়াম ট্রায়োক্লোরাইড এর মিশ্রণে এই ধাতু দ্রবীভূত হয়।

প্রকৃতিতে এর ১৯২ আইসোটোপ ও ১৯৩ আইসোটোপ পাওয়া যায়।

ইরিডিয়াম সাধারণত প্লাটিনাম ও অসমিয়াম ধাতুর সাথে মিশিয়ে সঙ্কর ধাতু তৈরি করা হয়। ক্ষয়রোধক পদার্থ হিসাবে ঝর্না-কলমের নিবের শীর্ষে, কম্পাসের বেয়ারিং-এ, গবেষণাগারে এবং অস্ত্র-চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে, আদর্শ ওজন পরিমাপক ও দৈর্ঘ্য পরিমাপক স্কেল তৈরিতে এই ধাতুর ব্যবহার করা হয়