প্রোমেথিয়াম
বানান বিশ্লেষণ: প্+র্+ও+ম্+এ+থ্+ই+আ+ম্+অ
উচ্চারণ:
pro.me.t̪ʰi.am (প্রো.মে.থি.আম)
শব্দ-উৎস: গ্রিক 
Prometheus (গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র প্রোমেথেয়ুস)> ইংরেজি Promethium বাংলা প্রোমেথিয়াম
পদ: বিশেষ্য

প্রতীক Pm
পারমাণবিক ওজন ১৪৫
পারমণবিক সংখ্যা ৬১
ইলেক্ট্রোন সংখ্যা ৬১
প্রোটোন ৬১
ইলেক্টোন কক্ষ: ২ ৮ ১৮ ২৩ ৮ ২
ইলেক্ট্রোন শক্তিবিন্যাস :
4f5 6s2
গলনাঙ্ক :  ১,১৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : ৩,৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


অর্থ:
এটি একটি ল্যান্থানাইড (বিরল মৃত্তিকা) শ্রেণির কঠিন মৌলিক পদার্থ। এটি রুপালী বর্ণের তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এর কোনো স্থায়ী আইসোটোপ নেই।

১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে এই মৌল সম্পর্কে আস্তিত্ব সম্পর্ক প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন চেক বিজ্ঞানী Bohuslav Brauner । ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির ফ্লোরেনন্সে অবস্থিত রয়্যাল ইউনিভার্সিটি বিজ্ঞানী Luigi Rolla এই মৌলটি আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করেন। এই এর নাম রেখেছিলেন ফ্লোরেন্স শহরের নামানুসারে florentium । তবে ‌এই মৌল সম্পর্কে তাঁর লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের পরে।

ইতিমধ্যে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
B. Smith Hopkins দাবি করেন যে, পর্যায় সারনী ৬০ এবং ৬২ এর মধ্যবর্তী একটি মৌলের সন্ধান পেয়েছেন। তিনি ইলিয়ন স্টেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামানুসারে  ‌এই মৌলের নাম রাখেন illinium

শেষ পর্যন্ত ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে
Jacob. A. Marinsky, Lawrence E. Glendenin and Charles D. Coryell এই মৌলটি আবিষ্কার করেন, পারমাণবিক চুল্লীতে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম-১৪৭-এর উপজাত হিসেবে। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে চূড়ান্তভাবে এর নামকরণ হয়- প্রোমেথিয়াম।

পারমাণিবিক চুল্লীতে ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম থেকে এই পদার্থটি পাওয়া যায়। 

সূত্র: