প্যালাডিয়াম
বানান বিশ্লেষণ: প্+য্+আ+ল্+আ+ড্+ই+আ+ম্+অ
উচ্চারণ:
pæ.la.ɖi.am (প্যা.লা.ডি.আম্)
শব্দ-উৎস: গ্রিক
Παλλάς (Pallás)  গ্রিক দেবী এথেনার নাম> Παλλάδιον (Palládion) > ল্যাটিন Palladium (রক্ষক) ইংরেজি Palladium (ব্রিটিশ রসায়নবিদ উইলিয়াম হাইড উলস্টন এই ধাতুটি আবিষ্কারের পর এই নামকরণ করেন)> বাংলা প্যালাডিয়াম।

এই ১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ রসায়নবিদ উইলিয়াম হাইড উলস্টন ( William Hyde Wollaston ) এই ধাতুটি আবিষ্কার করেন।

পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {ধাতু | রাসায়নিক মৌল | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }

প্রতীক Pd
পারমাণবিক সংখ্যা ৪৬
পারমাণবিক ভর ১০৬.৪২
গলনাঙ্ক : ১৫৫৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : ২৯৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অর্থ: এটি একটি রূপালি ধূসর, অবস্থান্তর ধাতু, মৌলিক পদার্থ। এটি অত্যন্ত প্লাটিনাম র মতো কঠিন পদারথ। পর্যায় সারণীতে এটি প্লাটিনাম দলের অন্তর্গত।

এ ধাতুর প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবহার গাড়িতে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার হিসেবে। গাড়ির একজস্ট সিস্টেমের একটি অংশ এটি। প্রধানত পেট্রল বা হাইব্রিড গাড়িতে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহার করা হয়। ৮০ শতাংশের বেশি প্যালাডিয়াম ব্যবহৃত হয় এসব ডিভাইসে। কার্বন মনো-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসকে কম ক্ষতিকর নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, এবং জলীয় বাষ্পে রূপান্তর করে এটি। তবে ইলেক্ট্রনিক্স, দন্ত্যচিকিৎসা এবং গহনা তৈরিতেও সামান্য পরিমাণে প্যালাডিয়ামের ব্যবহার আছে।