নাইট্রোজেন
বানান বিশ্লেষণ: ন্+আ+ই+ট্+র্+ও+জ্+এ+ন্+অ
উচ্চারণ:
nai.ʈro.ɟen (নাই.ট্রো.জেন্)
শব্দ-উৎস:
naitro { গ্রিক ἀζωτικός nitron (জীবননয়)> ল্যাটিন nitrum>প্রাচীন ফরাসি nitre> naitro-
+
gen {
গ্রিক
genes (জন্ম, উৎপন্ন)> প্রাচীন ফরাসি gène=  naitrogène
ইংরেজি Nitrogen> বাংলা নাইট্রোজেন
পদ: বিশেষ্য
প্রতীক N
রাসায়নিক সংকেত N2
পারমাণবিক সংখ্যা ৭
পারমাণবিক ওজন : ১৪.০০৬৭।
যোজ্যতা ৩
ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2 2s2 2p3
গলনাঙ্ক : -২১০০.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : -১৯৫.৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা : ২,৫
অর্থ: এটি একটি বায়বীয়, অধাতব, বর্ণহীন, গন্ধহীন, স্বাদহীন মৌলিক পদার্থপৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন রয়েছে। এটি পৃথিবীর সাধারণ কক্ষীয় তাপামাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে।

এর ২টি সুস্থির আইসোটোপ রয়েছে এই আইসোটোপ দুটিহলো—
মানব সভ্যতার গোড়া থেকেই মানুষ নাইট্রোজেন ঘটিত বিভিন্ন যৌগিক পদার্থের সাথে পরিচিত ছিল। বিশেষ করে নাইট্রোজেন ঘটিত নাইট্রিক এ্যাসিড ব্যবহার মানুষ আয়ত্ব করেছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু তখন মানুষ জানতো না যে, এর ভিতরে নাইট্রোজেন নাম একটি মৌলিক পদারথ আছে।

১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে রাদারফোর্ড এই গ্যাসটি আবিষ্কার করেন। তিনি এই গ্যাসটির নামকরণ করেছিলেন ক্ষতিকারক বাতাস
(noxious air) বা বদ্ধ বাতাস নামে। প্রথমদিকে বিজ্ঞানীরা এর নাম রেখেছিলেন এ্যাজোট (azote) ।  উল্লেখ্য গ্রিক ãζωτος শব্দের অর্থ হলো—জীবনহীন। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নাম নাইট্রোজেন রাখেন ল্যাভয়সিয়ের।

রসয়ানাগারে এই গ্যাস তৈরি করা হয় এ্যামোনিয়াম ক্লোরাইট ও সোডিয়াম ক্লোরাইটের রাসায়ানিক বিক্রিয়ার দ্বারা।

NH4Cl + NaNO2→ N2 + NaCl + 2H2O

শিল্পক্ষেত্রে বাতাসকে তরল করে, আংশিক পাতন পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন উৎপন্ন করা হয়।

সাধারণ চাপে ও তাপমাত্রায় নাইট্রোজনে নিষ্ক্রিয় গ্যাস হিসাবেই থাকে। কারণ এর অণু ত্রিবন্ধনে যুক্ত থাকে। অণুজীবী দ্বারা নাইট্রোজেনের বন্ধন ভেঙে গিয়ে নানা রকমের যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে। প্রকৃতিতে নাইট্রোজোনের এই চক্র প্রতিনিয়ত চলছে।

উচ্চ তাপমাত্রায় এ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, এ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম, বেরিয়াম, বেরিলিয়াম, বোরন, ম্যাগনেশিয়াম, লিথিয়াম, সিলিকনস্ট্রনশিয়ামের সাথে বিক্রয়া করে নাইট্রেট উৎপন্ন করে। বজ্রপাতের সময় বাতাসের অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেন বিক্রিয়া করে নাইট্রাস মনোক্সাইড উৎপন্ন করে। কিন্তু উচ্চাতাপ, মধ্যম চাপে অনুঘটকের সাহায্যে এ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। জীবজগতে নাইট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রোটিন, নিউক্লেইক এ্যাসিডে, কো এনজাইমে নাইট্রোজেন থাকে।