বোরন
বানান বিশ্লেষণ: ব্+ও+র্+অ+ন্+অ
উচ্চারণ:
bo.ron (বো.রোন্)
শব্দ-উৎস:
  ইংরেজি borax>Boron> বাংলা বোরোন
পদ: বিশেষ্য

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {ধাতু | রাসায়নিক মৌল | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }

প্রতীক : B
পারমাণবিক সংখ্যা : ৫
পারমাণবিক ভর : ১০.৮১১
ইলেক্ট্রন বিন্যাস :
2s2 2p2
গলনাঙ্ক : ২০৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
স্ফুটনাঙ্ক : ৩৯২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রোধ্যতা: ১.৭
´ ১০-৬ ওহম সেমি
দহন তাপ: ৩০২.০
± ৩.৪
এটি রাসায়নিক কঠিন মৌলিক পদার্থ। এটি একটি অর্ধধাতু। ভূত্বকে প্রায় ০.০০১% বোরন পাওয়া যায়। এছাড়া সাগরের পানিতে সামান্য পরিমাণ বোরন পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বোরন ও অক্সিজেনের কেলাসিত খনিজ উপাদানকে বলা হয় বোরেট। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য বোরেটগুলো হলো- এ্যাভোগাড্রাইড (K, Cs), BF 4 এবং ফেরুসাইট (Na, BF4, বোরাক্স (Na2B4O7, 10H2O ) ও কারনাইট (Na2B4O7, 4H2O)।

এর কেলাসিত ও অকেলাসিত রূপ রয়েছে। কেলাসিত বোরন ভঙ্গুর এবং শক্ত কঠিন পদার্থ। এই রূপটি কালো থেকে রুপালি ধূসর বর্ণের হতে পারে। কখনো কখনো কেলাসিত বোরন উজ্জ্ল লালবর্ণের হয়। অকেলাসিত বোরন কালো বা বাদামি বর্ণের হয়। এর দুটি আইসোটপ পাওয়া যায়। আইসোটোপ দুটি বোরন-১০ বা বোরন-১১।

উচ্চা তাপমাত্রায় এই গ্যাসটি
অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের সাথে অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল । এই কারণে ধাতুবিদ্যায় এই দুটি গ্যাস অপসারণকারী মৌল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ্যালুমিনিয়াম ঢালাইয় ও বিশোধনে এর ব্যবহার রয়েছে। ইস্পাত তৈরিতে বোরনের ব্যবহার রয়েছে। বোরন তন্তু প্লাস্টিক বাহক দ্রব্য এবং ম্যাট্রিক্সে ব্যবহার করা হয়। বিশোধিত বোরন ( Na2B4O7, H2O ) সাবান, মৃদু পানি তৈরিকারক উপাদান, ধোপাখানায় ব্যবহৃত মাড়, প্রসাধন সামগ্রী, গায়ে মাখার পাউডার, চকচকে কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফল, তক্তা, জীবণু মুক্ত করার জন্য বোরন ব্যবহার করা হয়। কৃষিক্ষেত্রে আগাছা নিয়ন্ত্রণে এবং কীটনাশক হিসেবে বোরন ব্যবহার করা হয়। মূলত উদ্ভিদের জন্য সামান্য পরিমাণ বোরন উপকারী, তবে বেশি মাত্রায় তা বিষাক্ত।  এছাড়া চামড়া প্রক্রিয়াকরণে বোরনের ব্যবহার আছে।

সূত্র :
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। প্রথম খণ্ড।
রাসায়নিক মৌল। দ,ন, ত্রিফোনভ, ভ.দ. ত্রিফোনভ। মির প্রকাশন, ১৯৮৮।