স্যামারিয়াম
বানান বিশ্লেষণ: স্+য্+আ+ম্+আ+র+ই+আ+ম্+অ
উচ্চারণ:
sæ.ma.ri.am (স্যা.মা.রি.আম্)
শব্দ-উৎস:
Samarsky (রুশ খনি-কর্মকর্তা)> ইংরেজি Samarskite (আকরিক) + ium> samarium> বাংলা স্যামারিয়াম
পদ: বিশেষ্য

প্রতীক Sm
পারমাণবিক ওজন ১৫০.৪
পারমণবিক সংখ্যা ৬২
ইলেক্ট্রোন সংখ্যা ৬২
প্রোটোন ৬২
ইলেক্টোন কক্ষ: ২ ৮ ১৮ ২৪ ৮ ২
ইলেক্ট্রোন শক্তিবিন্যাস :
4f6 6s2
গলনাঙ্ক :  ১,১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : ১,৭৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘনত্ব: ৭.৫৪

অর্থ:এটি একটি ল্যান্থানাইড (বিরল মৃত্তিকা) শ্রেণির কঠিন মৌলিক পদার্থ। এটি রুপালী বর্ণের উজ্জ্বল, কঠিন, ভঙ্গুর পদার্থ। এটি সামান্য বিষাক্ত। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি স্থায়ী। ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই স্যারিয়াম অক্সাইডে পরিণত হয়। এটি সাধারণত ত্রিযোজী। তবে দ্বিযোজী স্যামারিয়াম পাওয়া যায়।

প্রকৃতিতে এটি মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এর প্রধান খনিজ আকরিক হলো- মোনাজাইট ও ব্যাস্টানায়েসাইট।

১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার রসায়নবিদ
Jean Charles Galissard de Marignac খনিজ পদার্থের বর্ণালী পরীক্ষার সময় অদ্ভুদ ধরনের একটি বর্ণালী দেখতে পান। এই অদ্ভুদ ধরনের বর্ণালী উৎপাদক পদার্থকে তিনি কোনো নতুন পদার্থ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এরপর ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে Paul-Émile Lecoq de Boisbaudran স্যামারিয়ামের একটি লবণের সন্ধান পান। এর কিছুদিন পর, বোইসবাউড্রান samarskite আকরিক থেকে didymium (প্রেসিওডিমিয়াম নিওডিমিয়াম-ঘটিত মিশ্র পদার্থ) পৃথক করতে সক্ষম হন। তিনি এই মিশ্র পদার্থ থেকে ডিডিমিয়াম নাইট্রেটের দ্রবণ তৈরি করেন। এর সাথে এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড যুক্ত করার পর দেখেন যে- এর এক ভাগে ডিডিমিয়াম রয়ে গেছে। কিন্তু ভাগে পৃথক একটি নতুন পদার্থ পাওয়া গেছে। এই নতুন পদর্থটিই ছিল স্যামারিয়ান।

এর ৩০টি আইসোটোপ রয়েছে। এর ভর সীমা ১৩১-১৬০। এর ভিতরে  ১৪৭
Sm আইসোটোপটি তেজস্ক্রিয়। এর অর্ধজীবন ১.১×১০১১। এই আইসোটোপটি আলফা কণা বিকিরণ করে।

এটি মূলত ব্যবহৃত হয় স্যামারিয়াম-কোবাল্ট সংকর ধাতুর চুম্বক তৈরি করার জন্য। এই চুম্বক সাধারণত হেডফোন, ছোটো মটোর, ইলেক্ট্রিক পক্সআপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রিত মিসাইলে এর ব্যবহার রয়েছে। স্যামারিয়াম অক্সাইড ইথানলকে জলশূন্যতা বা আর্দ্‌র করার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অবলোহিত আলোর শোষণে ব্যবহৃত হয়। এর
  ১৫৩ Sm আইসোটোপটি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া স্যামারিয়াম পারমাণিক চুল্লীতে শোষণদণ্ড হিসেবে ব্যয়হৃত হয়।

সূত্র: