জিরকন
ইংরেজি Zircon।
এটি একটি ভারী, উজ্জল, মসৃণ ও সুদর্শন।
প্রতিসরণাঙ্ক ও বর্ণচ্ছটার দিক থকে হীরার পরেই জিরকনের স্থান। এর আকার অষ্টকোণ,
অষ্টফলক, ষষ্ঠকোণ ও ষষ্ঠফলক হয়ে থাকে। কৃষ্ণনীল, পীতেশ্বেত, রক্তাভ মরকত সদৃশ,
সাদাটে কপোতবর্ণ, ময়ূরকণ্ঠী ন্যায় বিচিত্র বর্ণের পাওয়া যায়। এর রাসায়নিক সংকেত
ZrSiO4।
এর কাঠিন্য ৬.৫-৭.৫, আপেক্ষিক গুরুত্ব ৩.৯০-৪.৭১, প্রতিসরাঙ্ক : ১.৭৭৭-১.৮৯৭,
বিচ্ছুরণ নাই ০.০৩৯।
ধারণা করা হয়-
পৃথিবীর ভূভাগের পরিবর্তনের আদি পর্যায়ে
হেডিন কাল
(৪৫০-৪০০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
জিরকন
সৃষ্টি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মধ্য
অস্ট্রেলিয়া
জ্যাক হিলে প্রাপ্ত সর্বপ্রাচীন জিরকনের বয়স ধরা হয়েছে
৪৩৯ কোটি পূর্বাব্দ।
অস্ট্রেলিয়া, কলম্বিয়া, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যাণ্ড, নরওয়ে, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ভারত
(দক্ষিণাঞ্চল) মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়। এ ছাড়া
ল্যাব্রেটরীতে কাঠ কয়লা বা ভাল গ্রাফাইটকে প্রচণ্ড চাপে ও তাপে জিরকন প্রস্তুত করা
হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে- এটি শুক্র গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে এবং
বর্ণভেদে শনি গ্রহের জন্যও সুফলদায়ক। রাসায়নিক কাজে ও ঔষধ-পত্রাদি তৈরীতে এর
ব্যবহার আছে।