AAL এএএল
ATM Adaption Layer=AAL

কম্পিউটার পরিমণ্ডলের এটিএম নেটওয়ার্ক পরিষেবাতে ব্যবহৃত একটি স্তর। এই স্তরটি এটিএম স্তর এবং উচ্চতর স্তরসমূহের মধ্যবর্তী স্তর হিসাবে কাজ করে থাকে। এর প্রধান কাজগুলো হলো––
১. একজন ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত পরিসেবা এবং এটিএম স্তরের সুপ্রাপ্য পরিসেবার মধ্যবর্তী অসাম্যতাকে দূর করে নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করা।
২. তথ্য সঞ্চালনের ত্রুটিসমূহের দেখাশোনা করা।
৩. নষ্ট এবং ভুল-প্রয়োগকৃত কক্ষাবস্থাসমূহ দেখাশোনা করা।
৪. তথ্য সঞ্চালনের সময় এবং প্রবাহকে নিয়ন্ত্রক করা
এটিএম অভিযোজন স্তর দ্বারা তথ্য সঞ্চালনের প্রক্রিয়ার ৩টি বিশেষ প্রকৃতিকে অনুসরণ করে। এই চারটি প্রকৃতি হলো-
১. তথ্যসঞ্চালনের ক্ষেত্রে এর সময়মান নিয়ন্ত্রণ। তথ্যাবলী সঞ্চালন সময়-নির্ভর বা সময়-স্বনির্ভর হতে পারে। এ কারণে কোন গন্তব্যে তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে সঙ্কেতের সময়মানের পুনঃসৃষ্টির প্রয়োজন হতে পারে। ২. চলক বা ধ্রুব মানের বিচারে বিট হার বিবেচনা করা। ৩. সংযোগকৃত বা সংযোগহীন দশায় তথ্য-সঞ্চচালন অবস্থা।
উল্লিখিত অবস্থার বিচারে, এই স্তরকে মোট ৮টি সাম্ভাব্য শ্রেণীতে বিভাজিত করা হয়। এর ভিতর ৪টিকে বলা হয়-
B-ISDN পরিসেবা শ্রেণী হিসাবে নির্দেশিত করা হয় পক্ষান্তরে এবং ৪টি এটিএম অভিযোজন স্তর পরিসেবা ৪টিকে বলা হয়- B-ISDN পরিষেবা শ্রেণী স্তরের সাথে সমন্বয় করে। এটিএম অভিযোজন স্তর ২টি উপস্তরে বিভাজিত করা হয়। এই উপস্তর দুটি হলো-
১. সমকেন্দ্রমুখী উপস্তর Convergence Sublayer) : স্তর ব্যবহারকারীর তথ্যবালীকে মোড়কাবৃত করে, একটি  একক তথ্য-প্যাকেট তৈরি করে। এই মোড়কের একটি শিরোনাম এবং অনুষঙ্গ থাকে।
২. খণ্ডায়ন এবং পুনঃসংযোজন উপস্তর
Segmentation and reassembly sublayer : এই স্তর সমকেন্দ্রমুখী উপস্তর থেকে আগত তথ্যা-মোড়কে গ্রহণ করে এবং এটিএম কক্ষে উপাস্থাপন করার উপযোগী করে এই তথ্যকে কয়েকটি খণ্ডে বিভাজিত করে। প্রতিটি খণ্ডের আকার হয় ৪৮ বাইট। এক্ষেত্রে প্রতিটি তথ্য-খণ্ডের একটি করে শিরোনাম দেওয়া হয়। এরপর এই স্তর তথ্যকে গন্তব্যের দিকে প্রেরণ করে। 
এটিএম অভিযোজন স্তরের বিভাজনসমূহ :