বৃন্দাবন দাস
১৫০৭-১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দ

বৈষ্ণব সাধক এবং পদকর্তা। তিনি ছিলেন বৈষ্ণব সাধক শ্রীবাস পণ্ডিতের ভ্রাতুষ্পুত্রী নারায়ণীর পুত্র। তাঁর গুরু ছিলেন
নিত্যানন্দ প্রভু

বৃন্দাবন দাস প্রথম বাংলা ভাষায় চৈতন্য-চরিত রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থ রচনার পর তিনি এর নাম দিয়েছিলেন 'চৈতন্যমঙ্গল'। পরে আচার্যরা এর নাম দেন 'চৈতন্যভাগবত'।
এই গ্রন্থটি তিনি তিন খণ্ডে ভাগ করে রচনা করেছিলেন। এর আদি খণ্ডে স্থান পেয়েছে শ্রীচৈতন্যর জন্ম থেকে গয়া গমন, মধ্য খণ্ডে স্থান পেয়েছে শ্রীচৈতন্যর সন্ন্যাস গ্রহণ, শেষ খণ্ডে রয়েছে নীলাচল গমন এবং এই ভ্রমণের আংশিক বিবরণ। তিনি 'গোপিকামোহন, নামে  অপর একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া 'কৃষ্ণকর্ণামৃতটীকা', নিত্যানন্দযুগলাষ্টক', 'রসকল্পসারস্তব', রামানুজগুরুপরম্পরা' প্রভৃতি সংস্কৃত কাব্য রচনা করেছিলেন।

শেষ বয়সে তিনি বর্ধমান জেলার দেনুড় গ্রামে একটি মন্দির তৈরি করে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি দেনুড় শ্রীপাট নামে পরিচিত। ১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


সূত্র: