নিত্যানন্দ প্রভু
(১৪৭৭/৭৮-১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দ)
চৈতন্যদেবের সহচর এবং বৈষ্ণব সাধক।
১৪৭৭ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দ) বীরভূমের একাচক্র গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন। তাঁর পিতার নাম মুকুন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ বৎসর বয়সে গৃহত্যাগ করে প্রায় ২০
বৎসর বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে ভ্রমণ শেষে নবদ্বীপে আসেন।
শ্রীচৈতন্য ও
অদ্বৈতাচার্য-এর
মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে, তিনি এঁদের শিষ্যত্ব বরণ করেন।
তিনিই প্রথম শ্রীচৈতন্য
ও অদ্বৈতাচারকে
অবতার হিসেবে ঘোষণা দেন।
এই সময় তিনি শ্রীচৈতন্যের
সহচর হয়ে বৈষ্ণব আদর্শ প্রচার করা শুরু করেন। বরাহনগর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত গঙ্গার
দুই তীরবর্তী অঞ্চলে তিনি ধর্ম প্রচার করেন। জগাই ও মাধাই নামক দুই মদ্যপকে তিনি
বৈষ্ণব সাধকে উন্নীত করেন। তাঁর ধর্মপ্রচারের প্রক্রিয়ায় ছিল সঙ্গীত ও নৃত্য।
শ্রীচৈতন্যের
আদেশে তিনি বসুধা এবং জাহ্নবী দেবীকে বিবাহ করেন। এর ভিতরে বসুধা দেবীর গর্ভে তাঁর
বীরভদ্র নামক পুত্র এবং গঙ্গা নামক কন্যার জন্ম হয়। ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি
মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর বহুদিন পর্যন্ত ভক্তরা
শ্রীচৈতন্যের
সাথে তাঁর মূর্তি পূজা করতো।
তাঁর শিষ্য ছিলেন বিশিষ্ট বৈষ্ণব সাধক এবং পদকর্তা
বৃন্দাবন দাস।
সূত্র:
- পুরাতন বাংলা সাহিত্যের তথ্য ও কালক্রম/সুখময় মুখোপাধ্যায়।
[খান ব্রাদার্স এ্যান্ড কোম্পানি, ডিসেম্বর ২০০০]
- বাংলা সাহিত্যের কথা/ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
[মওলা ব্রাদার্স, বাংলা একাডেমী, অক্টোবর ১৯৯৯]
- বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা।
গোপাল হালদার। [মুক্তধারা, আগষ্ট ১৯৮০]
- বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস।
ক্ষেত্র গুপ্ত। [জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, ফেব্রুয়ারি ২০০০।