দারিকপাদানাম্
অন্যতম প্রাচীন বাঙালি কবি। এঁর গুরু ছিলেন
লুইপা, আর শিষ্যের
নাম ছিল
বজ্রঘণ্টপা।
তিনি
লুইপার
অপর শিষ্য
কুক্কুরীপা'র
সমসাময়িক ছিলেন।
ধারণা করা হয় ইনি ৮১০-৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের কবি ছিলেন।
তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ইন্দ্রপাল।
বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা গ্রহণের পূর্বে তিনি সালিপুত্র নামক স্থানের রাজা ছিলেন। সিদ্ধিলাভের পরে তিনি দারিক নাম ধারণ করেন। লুইপার কাছ থেকে তিনি সিদ্ধি লাভ করেন এবং
তার শিষ্য হিসেবে মর্যাদা পান। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর মতে, “দারিকপা লুইপার
সাক্ষাৎ শিষ্য নন, শিষ্য পরম্পরার একজন”।
তথ্যসূত্র :
চর্যাগীতিকা/মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা সম্পাদিত।
ষ্টুডেন্ট ওয়েজ। অগ্রহায়ণ ১৪০২।
চর্যাগীতি কোষ/নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। জানুয়ারি ১৯৭৮।
চর্যাগীতি পরিক্রমা/ড. নির্মল সেন। দে'জ পাবলিশিং, জানুয়ারি
২০০৫।
চর্যাগীতি প্রসঙ্গ/সৈয়দ আলী আহসান। মৌলি প্রকাশনা, জুন ২০০৩।
বাংলা সাহিত্যের কথা
(প্রথম খণ্ড-প্রাচীন
যুগ)/ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মাওলা ব্রাদ্রার্স, মার্চ
২০০০।
হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা/হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী। (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, ১৩২৩)
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা-সংগ্রহ (দ্বিতীয় খণ্ড)। পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, নভেম্বর ২০০০