লুইপাদানাম্
অন্যতম প্রাচীন বাঙালি কবি। সংক্ষেপিত নাম লু্ই পা।
এঁর গুরু ছিলেন
শবর পা আর শিষ্যরা
ছিলেন
দারিক পা
ও
কুক্কুরীপা।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলোর ভিতরে এঁর রচিত পদ ২টি।
চর্যগীতির সঙ্কলনে এই পদ দুটির ক্রমিক সংখ্যা
১. কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল [তথ্য]
২৯. ভাব ন হোই অভাব ণ [তথ্য]
মূলত এই দুটি পদের জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। উভয় পদের ভণিতায় 'লুই' উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয়, সংস্কৃত রোহিত (রুই মাছ) শব্দ থেকে গৃহীত হয়েছিল। শব্দ উৎসক্রম অনুসারে দাঁড়ায় রোহিত>রুই>লুই।
লুইপা ঠিক কোন সময়ের কবি ছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
লুইপার জন্মস্থান নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক আছে। যেমন-
রচনাবলী
১. বজ্রসত্ত্বসাধন । সংস্কৃত গ্রন্থ।
২. বুদ্ধদয়। সংস্কৃত
গ্রন্থ।
২. শ্রীভগবদভিসময়। সংস্কৃত গ্রন্থ।
৩. তত্ত্বস্বভাবদোহাকোষগীতিকাদৃষ্টি । বাঙলা গ্রন্থ।
৪. লুহি পাদগীতিকা। বাঙলা
গ্রন্থ। দ্র : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা সংগ্রহ দ্বিতীয় খণ্ড। পৃষ্ঠা ৩৮২।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, দ্বিতীয় মুদ্রণ।
৫. অভিসময়বিভঙ্গ। সংস্কৃত গ্রন্থ। প্রথম দিকে ধারণা ছিল- এই গ্রন্থটি তিনি অতীশ দীপঙ্করের সাথে রচনা
করেছিলেন। কিন্তু এটি ডঃ সুকুমার সেনের মতে, লুইপাদানামের অসমাপ্ত এই গ্রন্থটি
সমাপ্ত করেছিলেন-অতীশ দীপঙ্কর।
তথ্যসূত্র :
চর্যাগীতিকা/মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা সম্পাদিত।
ষ্টুডেন্ট ওয়েজ। অগ্রহায়ণ ১৪০২।
চর্যাগীতি কোষ/নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। জানুয়ারি ১৯৭৮।
চর্যাগীতি পরিক্রমা/ড. নির্মল সেন। দে'জ পাবলিশিং, জানুয়ারি
২০০৫।
চর্যাগীতি প্রসঙ্গ/সৈয়দ আলী আহসান। মৌলি প্রকাশনা, জুন ২০০৩।
বাংলা সাহিত্যের কথা
(প্রথম খণ্ড-প্রাচীন
যুগ)/ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মাওলা ব্রাদ্রার্স, মার্চ
২০০০।
হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা/হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী। (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, ১৩২৩)
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা-সংগ্রহ (দ্বিতীয় খণ্ড)। পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, নভেম্বর ২০০০
The Origin and
Development of the Bengali language Vol I/Suniti
kumar Chatterji. George Allen & Unwin LTD, 1970.